দোয়ারাবাজারের রামপুরে রাস্তার বেহাল দশা
সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আমবাড়িবাজারের সাথে রামপুরের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কারের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে রামপুর ছাড়াও মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ইসলামপুর, পিরিজপুরসহ মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের বেতগঞ্জ, মনহরপুর, হবিপুর গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ নিয়মিত জেলা শহরসহ আমবাড়িবাজারে যাতায়াত করেন।
অনেকদিন ধরে রাস্তা সংস্কারের কোন কাজ না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমবাড়ি-সুনামগঞ্জ এর মূল রাস্তার পর থেকে শুরু করে রামপুর পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা একেবারেই ভাঙ্গাচোরা। বেশিরভাগ জায়গায় পিচ ঢালাই নেই, আবার অনেক জায়গায় ইট-পাথর সরে গিয়ে বিপদজনক ভাবে রড বের হয়ে আছে যা যেকোনো সময় গাড়ির চাকার সাথে লেগে বড় ধরনের দূর্ঘটনা হতে পারে।

সামান্য বৃষ্টিতেই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার পরও বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকার কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই পথে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। পথচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র উপায় এই রাস্তা। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে এই পর্যন্ত অনেক দূর্ঘটনা হয়েছে। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলারা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। সঠিক পর্যবেক্ষণের অভাবে এই রাস্তার সংস্কারের কাজ ঠিকমতো হয় না।
অটোরিকশাচালক মাহমুদুল জানান, এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়, গাড়িও দ্রুত নষ্ট হয়। জীবিকার তাগিদে আমরা গাড়ি নিয়ে বের হই, অনেক সময় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙা অংশ পার হতে হয়। একসাথে দুইটা গাড়ি পাস হতে হলে একটা থামিয়ে আরেকটা যেতে হয়। রাস্তার বেহাল দশার কারনে কিছুদিন পর পর গাড়ি ঠিক করতে হয়। অতিদ্রুত রাস্তার কাজ করা না হলে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি জানান, কিছুদিন আগে সমিতির টাকায় বালুপাথর দিয়ে বড় বড় গর্তগুলো ভরাট করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দিলফর আলী বলেন, অনেকদিন ধরে উপজেলা এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করেও ফল পাচ্ছি না। কেউ এসে কোন খবরও নেননি। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে সাধারণ জনগণকে অনেক ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবী, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব যেনো রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়ে থাকে, তাহলে জনগণের চলাচলের দূর্দশা লাঘব হবে।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী দেবতোশ পালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অতিদ্রুতই সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে রিপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
- আসাদুর রহমান ইজাজ, স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ