হাওরাঞ্চলে বাড়ছে বজ্রপাতে মৃত্যু
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশে দিনকে দিন বজ্রপাত বেড়ে চলেছে। বজ্রপাতের থাবায় প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য মানুষ। বৃষ্টির মৌসুম এলেই শুরু হয় বজ্রপাত। বিশেষ করে দেশের হাওরাঞ্চলে বজ্রপাতের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলেও বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বজ্রপাতে প্রাণ গেছে ১২ জনের। বজ্রপাতে মৃত্যু রোধে সতর্কতার পাশাপাশি হাওরে তালসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জেলার দুব্বা গ্রামের মো. আকবর হোসেন বলেন, জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন তারা। বজ্রপাত হলেও কিছু করার নেই। কারণ সন্তানদের তো আর না খাইয়ে রাখতে পারব না। তাই মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আমাদের হাওরে যেতে হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, হাওরে দিন দিন বজ্রপাত বেড়েই চলেছে। সেজন্য হাওরে বেশি করে তালগাছের চারা রোপণ করছি। সেসঙ্গে যারা বজ্রপাতে মারা গেছেন তাদের দাফনের জন্য তাত্ক্ষণিক ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ২৫ জন এবং ২০১৯ সালে ৯ জন মারা গেছেন। চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত বজ্রপাতে প্রাণ গেছে আরো ১২ জনের। সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ জানিয়েছেন, বজ্রপাত মানেই এখন হাওরবাসীর জন্য নিশ্চিত মরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যাতে কোনো মানুষের প্রাণ না যায় সেজন্য দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ও পানি মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। আশা করি, আগামী বর্ষার আগেই তা বাস্তবায়ন হবে।
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ