পরিকল্পনামন্ত্রীর সাথে সিলেট পরিবার পরিকল্পনা সমিতি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর সাথে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে ‘বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতির সিলেট জেলা শাখার ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারী সমিতির সিলেট জেলা শাখার সভাপতি রাশেদা খানম রিনা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কয়েছ রশীদ দেলোয়ার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শিরিয়া বেগম এবং সিনিয়র এফপিআই মোঃ ফিরোজ আলী।
প্রতিনিধি দল পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মহোদয় এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরেও একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমি মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি এবং এ বিভাগের কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্ট দূর্ভোগের কথা জানি। আপনাদের উপরে চেষ্টা তদবিরের অভাব থাকায় অনেক পিছিয়ে আছেন। আপনারা সম্মিলিতভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ সকলকে আপনাদের অবস্থা অবহিত করেন। আমি ‘বেতন বৈষম্য দূরীকরণ নিয়ে কমিটির সকল মন্ত্রী, সচিবদের নিকট দাবী বিবেচনায় শক্ত ভাবে চিঠি দেব এবং ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সাফল্যজনক কাজের যথাযথ মূল্যায়নের কথা বলব।’
মন্ত্রীকে এসময় জানানো হয় যে, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের গোড়াপত্তন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নির্দেশে মাঠ কর্মচারী নিয়োগ শুরু হয় এবং সেই কর্মচারীগণের দীর্ঘ ৪৫ বছরেও অবস্থার কোন পরিবর্তন হয়নি। তারা সারা জীবন একই পদে চাকুরী করে প্রমোশন ছাড়া পেনশনে যাচ্ছেন, পেনশনের সময় অযথা ২০% টাকা কর্তন করে রাখা হচ্ছে, যা সারাজীবনেও কোন দিন ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এফডািব্লিউএ তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে নিয়োগ হলেও এক পত্রের মাধ্যমে ১৭তম গ্রেড দিয়ে চতুর্থ শ্রেণী করে রাখা হয়েছে। করোনাকালিন সময়ে, যখন সারাদেশের সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিকে ডেলিভারী বা গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না, তখন সিএসবিএ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এফডাব্লিউএগণ নরমাল ডেলিভারী করে দেশ-বিদেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
মন্ত্রীকে একটি এফডাব্লিউএ একটি রেজিষ্ট্রার্ড এবং বর্তমান ট্যাবের কার্যক্রম দেখানো হয়।
মন্ত্রী দীর্ঘ সময় প্রতিনিধি দলের আবেগঘন কথাগুলো ধৈর্য্য সহকারে শোনেন এবং তাদের দিকে অবাক বিস্ময় চোখে থাকিয়ে থাকেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টি অবহিত করার জন্য মন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে মন্ত্রী, প্রমোশনের পরির্বতে ডিমোশন, পেনশনের ২০% কর্তন, কাদের সাথে বেতন বৈষম্য এবং কেন নিয়োগবিধি প্রণয়ন হয়নি ও গ্রেড পরিবর্তন হচ্ছে না, একেক করে পুরো বিষয়টি জানতে চান। কর্মচারীদের এমন করুণ বিষয়টি অবহিত হয়ে তিনি তাঁর পক্ষে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী মহোদয়কে প্রতিনিধি দল ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সুনামগঞ্জমিরর/এসএ