প্রাণ ফিরে পাচ্ছে সিলেটের গাভিয়ার খাল
সিলেট নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত সবচেয়ে বড় খাল ‘গাভিয়ার খাল’ আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে খালটি প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছিলেন। খাল দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল শতাধিক স্থাপনা। ফলে জলাবদ্ধতায় নগরীর তিন ওয়ার্ডের লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। অবশেষে সিটি করপোরেশন খালটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে খালটি উদ্ধার ও খনন কাজ শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে খালটির উদ্ধার কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গাভিয়ার খাল। নগরীর কুয়ারপাড় থেকে শুরু হয়ে ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কানিশাইল হয়ে সুরমা নদীতে গিয়ে মিলিত হয়েছে খালটি। একসময় এই খাল দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করলেও অবৈধ দখলের ফলে দীর্ঘদিন থেকে খালটি নিশ্চিহ্ন ছিল।
খাল দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেন স্থাপনা। খাল ভরাট করে তৈরি করা হয় খেলার মাঠ। ফলে বর্ষা মৌসুমে ওই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের লোকজনকে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হতো। পুরো বর্ষা মৌসুমই তাদেরকে পানি বন্দি থাকতে হত।
অবশেষে নগরীর বড় এই খালটি উদ্ধারের উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খালটি উদ্ধার ও খনন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে খালের উপর নির্মিত ১৩৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন চলছে এক্সেভেটর দিয়ে খনন কাজ। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে খালটির খনন ও উদ্ধার কাজ শেষ হবে বলে জানান সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের নিয়ে গাভিয়ার খাল উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনে যান সিটি মেয়র। এসময় তিনি সাংবাদিকদের খাল খননের দৃশ্য দেখান। পরে সাংবাদিকদের নিয়ে স্পিডবোটে করে খাল পরিদর্শন করেন মেয়র।