দিরাই হাসপাতালে ১৫বছরেও চালু হয়নি এক্স-রে মেশিন

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫বছর যাবৎ অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে এক্স-রে মেশিন। ব্যবস্থা থাকা স্বত্বেও এক্স-রে মেশিনের সুবিধা পাচ্ছেন এলাকার রোগীরা। তাদের দাবী, কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর অনীহার কারণে নষ্ট হচ্ছে হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লো-ভোল্টেজ আর টেকনিশিয়ানের অভাবের অজুহাত দেখিয়ে হাসপাতালের একটি কক্ষে ফেলে রাখা হয়েছে মেশিনটি। এতে প্রায়ই দূর্ভোগ পোহাতে হয় আড়াই লক্ষ জনসংখ্যার এলাকাবাসীর।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে সরকার একটি এক্সরে মেশিন প্রদান করেন। বর্তমানে এক্সরে মেশিনটি একটি কক্ষে অকেজো পড়ে রয়েছে।

উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ছালেক মিয়া (৩৫) বলেন, আমি আমার অসুস্থ বোনকে নিয়ে হাসপাতালে এক্স-রে করাতে এসেছিলাম, পরে জানতে পারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেশিনটি অকেজো। বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়েছে।

বধলপুরের ফারুক মিয়া বলেন, আসপাতাল আউয়া বিপদ পরলাম ডাক্তর আমারে দেখিয়া কইলা এক্সরে লাগবো, আমি কইলাম করিলাউকা ডাক্তারে কইলা আমরার ইকান নাই, বারতাকি আনিলাউকা উতুকুনি কাগজ দিয়া ৪০০ টেকা রাকিলাইচন।

দিরাই উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সেবা গ্রহীতা ফোরামের সদস্য রতিরঞ্জন দাস বলেন, ১৫ বছরে একটি এক্স-রে মেশিন চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ শুনতেই অবাক লাগে। সরকার জনগণের জন্য এক্স-রে মেশিন দিলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে মেশিনটি চালু হচ্ছে না, এটা দুঃখের বিষয়, বর্তমানে আমাদের এলাকায় লো-ভোল্টেজের সমস্যা নেই, তাই আমরা চাই মেশিনটি দ্রুত চালু হোক।

দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশুতোষ দাশ বলেন, ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে, টেকনিশিয়ানের পদায়নের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আশা করি অচিরেই মেশিনটি চালু করা যাবে।

x