আইনগতভাবেই জামিন পাবেন তারেক রহমান

নতুন সরকারের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যদি কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন তাহলে অর্থপাচার মামলা থেকে তিনি আইনগভাবেই জামিন পাবেন। যেহেতু তিনি বিচারিক আদালতে ওই মামলায় খালাস পেয়েছেন, এখন তিনি আত্মসমর্পণ করবেন কি না সেটা তার বিষয়।’ আর তারেক আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে দেশে না ফিরলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বরাত দিয়ে বলেন, ‘বিএনপি অনুধাবন করেছে নির্বাচনে যাওয়া প্রয়োজন ছিল। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে যেসব কাজ চলছে সেগুলো চলবে এবং ভবিষ্যতেও অনেক কাজ হবে।’

হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাজ্য উদ্বিগ্ন। তারা এটাকে আইনসিদ্ধ হিসেবে স্বীকার করে না।

তার জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক দেশে ভিন্ন ভিন্ন কারণে মৃত্যুদণ্ড রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। তবে আইসিটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো আপোষের সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে অন্য কোনো মৃত্যুদণ্ডের বিচারকে বিবেচনা করা যেতে পারে।’

গণতন্ত্র অব্যাহত থাকার বিষয়ে সংলাপের গুরুত্ব সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও সংলাপ চাই। যারা সংলাপে আসবে তাদের বুঝতে হবে তারা কাদের নিয়ে আসছেন। সন্ত্রাসীদলকে নিয়ে আসলে তো হবে না।’

বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দেয়ার সম্পর্কে গিবসন কিছু বলেননি বলেও জানান তিনি।

ভবিষ্যতে জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো প্রকার সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে আসলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নই আসে না।’ জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কখনই একসঙ্গে আন্দোলন করেনি বলেও দাবি করেন আইনমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘আইসিটিতে শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ করা হবে। এই সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয় সেটা চায় না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারী ও রেললাইনের ফিসপ্লেট যারা তুলে ফেলে তাদেরকে আইসিটি আইনে বিচার করা হবে।’

x