‘লড়াইয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে পরাভূত করতে হবে’

লড়াইয়ের মাধ্যম গণতন্ত্র হত্যাকারী বিরোধী শক্তিকে পরাভূত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে ‘বাকশাল‘ কায়েম করেছিল। তারা জাতীয় সংসদে বিরোধী মতামতকে উপেক্ষা করে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করে গায়ের জোরে এক অগণতান্ত্রিক মধ্যযুগীয় আইন পাস করে। এই একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী মানুষের বাক-ব্যক্তি, চলাচল ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার হরণ করে, সব সংবাদপত্র বন্ধ করে শুধু তাদের সমর্থক চারটি প্রকাশনা চালু রাখার ফরমান জারি করে।

তিনি বলেন, দেশবাসীর দীর্ঘদিনের সংগ্রামে অর্জিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে তারা ভূলুন্ঠিত করে সমাজে এক ভয়াবহ নৈরাজ্যের ঘন অমানিশা ছড়িয়ে দেয়। এমনি এক দুঃসময়ে ৭৫’ এর ৭ই নভেম্বর সিপাহী-জনতার সম্মিলিত শ্রোত-ধারায় শহীদ জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে স্বেচ্ছাচারিতার লৌহ কপাট ভেঙে গণতন্ত্রকে অর্গলমুক্ত করেন। এরপর শুরু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা। নিশ্চিত হয় মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরনকারী বর্তমান সরকার আবারও বাকশালী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্রকে মৃতপ্রায় অবস্থায় নিয়ে গেছে। এদের কাছে কখনই গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিরাপদ থাকেনি।

তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের বিপদ টের পেয়ে তারা সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে জনগণের ভোটের অধিকারকেও হরণ করেছে এবং তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে এখন একক কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার অলীক স্বপ্নে বিভোর হয়ে দেশের ঐক্য, সংহতি ও সার্বভৌমত্বকে সংকটাপন্ন করে তুলতেও দ্বিধা করছে না। বর্তমান সরকার বিরোধী দলের প্রতি আচরণে কখনই সভ্য রীতি-নীতি অনুসরণ করেনি।

খালেদা জিয়া বলেন, এই নব্য বাকশালীদের অপসারণ করার লক্ষ্যে জনগণ আজ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আবারও কঠিন লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ভোটবিহীন নির্বাচনে জবর দখলকারী গণতন্ত্র-বিরোধী-শক্তিকে পরাভূত করে আমাদের রক্তস্নাত বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ করতে হবে।

x