আকাশে উড়লো শাবির শিক্ষার্থীদের তৈরি ড্রোন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি মনুষ্যবিহীন বিমান (ড্রোন) উড়লো আকাশে। বুধবার দুপুরে শাবির আকাশে এটি কয়েক মিনিট চক্কর দেয়।
শাবির কেন্দ্রীয় মাঠ থেকে ‘ড্রোন’ গবেষক টিমের প্রধান পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল এটি উড়িয়ে দেন।
এ সময় গবেষণা দলের তত্ত্বাবধায়ক শাবির ইলেকট্রিকেল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড.মুহম্মদ জাফর ইকবাল, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শরিফ মোহাম্মদ শরাফ উদ্দিন, দলটির প্রধান পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সৈয়দ রেজওযানুল হক নাবিল ও দলের সদস্য পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রবি কর্মকার ও মারুফ হোসেন রাহাতসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
দলের প্রধান সৈয়দ রেজওযানুল হক নাবিল বলেন, এটিকে এখনো ড্রোন বলা যাবে না। এখানে ড্রোনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রসমূহ ব্যবহার করা হয়নি।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালও এটিকে ফ্লাইং মেশিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আমরা যে ড্রোন তৈরি করতে চাই সেটি দুর্গম এলাকার ছবি তুলতে পারবে এবং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বৃদ্ধি করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এর পূর্বে ড্রোন তৈরি করেছে তবে এটাতে নতুন প্রযুক্তির সংযোজন থাকবে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বিশ্বে ড্রোন একটি আলোচিত যন্ত্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন যেমন রাডার ফাঁকি দিয়ে একটি দেশের ভেতর অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারে, তেমনি দূরনিয়ন্ত্রিত এসব বিমান লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে নির্ভুলভাবে।
মনুষ্যবিহীন ড্রোনে ক্যামেরা থাকে। ওই ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহীত ভিডিওচিত্র ভূমি থেকে বিমান নিয়ন্ত্রণকারী অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আকাশসীমায় পর্যবেক্ষণ চালানো, নিজ দেশের আকাশসীমা পাহারা দেওয়া, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, শত্রুদের বেতার ও রাডার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটানো, আড়ি পেতে তথ্য জোগাড় করা থেকে শুরু করে প্রয়োজনে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে এ ধরনের বিমান।