‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলা হবে’

অমর একুশে গ্রন্থমেলা- ২০১৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলা হবে। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিচ দিয়ে একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে পারব ইনশাল্লাহ। বিচার সম্পন্ন করে বাঙালি জাতিকে আমরা কলঙ্ক মুক্ত করব।

জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে বাংলার স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার উদ্যোগ নিয়েছি। কিছু সমস্যা আছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় জাতিসংঘে বাংলায় দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার ধারাবাহিকতায় আমিও জাতিসংঘে যতবার বক্তৃতা দিয়েছি, বাংলায় দিয়েছি।’

জাতীয় গ্রন্থ নীতি প্রণয়নের উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লেখক-প্রকাশকদের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক। প্রকাশকদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

বিকেল ৪টা ২৮ মিনিটে বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে তার কাছে থেকে সম্মাননাপত্র ও পুরস্কারের চেক গ্রহণ করেন এবারের একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখকেরা।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান তুলে দেন একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

বিকেল ৩টার দিকে বাংলা একাডেমির নির্দিষ্ট মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এনডিসি, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রফেসর এমেরিটাস আনিসুজ্জামান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৪ উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক শাহিদা খাতুন।

প্রথমবারের মতো এবারই বাংলা একাডেমির বাইরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বইমেলা।

x