পুরো দেশকে কারাগার বানানো হয়েছে: গয়েশ্বর
দমননীতি অনুসরণ করে সরকার গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
রোববার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম করে হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ভোটার ছাড়া নির্বাচন করে সরকার এভাবেই দমন নীতি অনুসরণ করে গোটা দেশটাকে বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে।”
সরকার বিরোধীদের সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “তারা কথা বলতে দেবে না।”
এ অবস্থা চলতে থাকলে ‘রাজপথে আন্দোলন’ ছাড়া বিকল্প কিছু থাকবে না বলে সরকার হুঁশিয়ারি দেন এই বিএনপি নেতা।
দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন তিনি।
যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরবসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ সব ‘রাজবন্দির’ মুক্তি দাবিতে এই সভা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, “ভোটার ছাড়া নির্বাচন করে যে সরকার গঠন করা হয়েছে তার কোনো বৈধ্যতা নেই। ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন ভোট করে এই সরকার মৃত হয়ে গেছে। নিজেদের জানাজা নিজেরাই পড়েছে। এখন শুধু তাদের (সরকার) দাফনটা বাকি আছে।”
৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে শতকরা ৫ ভাগ ভোটারও ভোট কেন্দ্রে যায়নি দাবি করে তিনি বলেন, “এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ৫ ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে।”
অন্যদিকে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ‘কঠিন লড়াইয়ের’ আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, “তিন সরকার নিয়ে দেশের সরকার পরিচালিত হচ্ছে। একটা হচ্ছে- শাহবাগের ইমরান এইচ সরকার, দ্বিতীয়টি শেখ হাসিনার সরকার এবং তৃতীয়টি ভারত সরকার।”
“৫ জানুয়ারি ভোটের আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা শিংয়ের ঢাকা সফর ও নির্বাচন নিয়ে নানা বক্তব্য থেকে এটা পরিস্কার হয়ে গেছে, তারা (ভারত) আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, কথা বলছেন। আমরা তো ভারতের নির্বাচন নিয়ে কথা বলি না। এ থেকে বুঝা যায়, দেশের সার্বভৌমত্ব আছে কি না।”
নির্দলীয় সরকার দাবিতে বিএনপির আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “আন্দোলন চলমান আছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই বৃহৎ কারাগারের ফটক ভেঙে নেতা-কর্মীদের মুক্ত করতে হবে।”
যুবদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুস সালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহসভাপতি খালেক হাওলাদার, সেলিমুজ্জমান সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক কাজী রফিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।