পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার
মাধ্যমিক (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। এবার এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মোট ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে সাত লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ৯৯ হাজার ৫২৫ জন ছাত্রী।
গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৫৪ জন। ২০১৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ তিন হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শনিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
মন্ত্রী জানান, এবার দুই হাজার ৯৪২টি কেন্দ্রে ২৭ হাজার ৪৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। গত বছরের থেকে এবার ৪১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১৮৪টি কেন্দ্র বেড়েছে।
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫৫৫ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৯ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ দুই হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ২২ মার্চ পর্যন্ত তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ করতে হবে ২৩ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে।
প্রথম দিন রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আট বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা রয়েছে।
আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে সকাল ১০টা থেকে রয়েছে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাংলা-২ সৃজনশীল পরীক্ষা।
এবার সৃজনশীল প্রশ্ন সব বোর্ডে একই হবে। তবে সনাতন প্রশ্নগুলো হবে বিভিন্ন বোর্ডে আলাদা আলাদা।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। তাদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ দেওয়া হবে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২০ মে’র মধ্যে ফলাফল দেওয়া হবে বলে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১ জুলাই শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া ও ফলাফল দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত হয়ে গেছে। তবে এ বছর বিশ্ব ইজতেমার কারণে এক ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা না নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সব মহলের সহযোগিতা চেয়ে মন্ত্রী জানান, যে ব্যবস্থা নিয়েছি তাতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধিরা পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারবেন না। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে পারবেন না। তবে কেন্দ্র সচিব মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।