"হাসনরাজা পুরো বাঙ্গালীর"
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেছেন, হাসনরাজার দেশ সুনামগঞ্জ, আর আমার বাড়ি মৌলভীবাজার। তবুও হাসন পরিবারের প্রতি আমার আত্মার টান। হাসনরাজা থেকে শুরু করে আব্দুল করিম, এঁদের সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রাখতে হবে। হাসনরাজা শুধু সুনামগঞ্জের নন, তিনি পুরো বাঙ্গালীর।
শনিবার সাত দশটায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হাসনরাজা লোক উৎসবের সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।
বাংলালিংকের সহযোগিতায় হাসনরাজা পরিষদ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিনদিনব্যাপী হাসন লোক উৎসবের আয়োজন করে।
হাসনরাজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামারিন দেওয়ানের সঞ্চালনায় ও দেওয়ান শমসের রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ।
সৈয়দ মহসিন আলী তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, আমি একসময় মৌলভীবাজারের পৌর চেয়ারম্যান ছিলাম, মউজদীনও তখন সুনামগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান। দুজনে মিলে হাসন উৎসবে থাকতাম তখন।
মউজদীনকে বীর আখ্যা দিয়ে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সবাইকে মউজদীন স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের অনুরোধ করেন।
নিরবতা পালনের পর মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের মধ্যে হাসনরাজার “রঙ্গের খনি যেখানে” গানটি গেয়ে শোনান।
সিলেটি ভাষায় মন্ত্রী বলেন, “আমি রসিক মানুষ, সিলোটি মাত না মাতলে বালা লাগে না, শুদ্ধ বাংলা মাতলে রস অয় না।”
মন্ত্রী বলেন, প্রাণের টানে হাসন উৎসবে আসব, অথচ কিছু মানুষ ফোন দিয়ে বলল উৎসবের আয়োজক নাকি রাজাকাররা! আপনারাই বলেন, হাসনরাজার উৎসব কি রাজাকাররা করে? হালার হালাইন!
পরে তিনি বলেন, আগে নৌকায় করে সুনামগঞ্জ আসতে হতো। এখন রাস্তা হওয়ায় গাড়িতে দিয়ে ‘ফুরুত-ফুরুত’ করে আসা যায়। যেসব ব্রিজের কাজ হচ্ছে সেগুলো চালু হলে আরো আরামে আসা যাবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের উন্নয়ন করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি তো ইলেকশনো আইলো না, আইলে দেখলো নে রস কিলা লাগে।
বক্তব্যের শেষে হাসনরাজার ”লোকে বলে বলে রে” গানটি গেয়ে শোনান তিনি। এসময় উপস্থিত দর্শকেরা মূুহর্মুহু করতালিতে ফেটে পড়ে।