লোক উৎসবে এ কোন ভাওতাবাজি!
এ কোন ধরণের ভাওতাবাজি?
হাছনরাজা লোক উৎসবে পরপর ৩দিন গেলাম প্রখ্যাত শিল্পী সেলিম চৌধুরীর গান শুনার জন্য। অপেক্ষার প্রহর যেন কাটতে চায় না। আশায় আশায় গানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনদিনই ছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব ভেস্তে গেল।
সমাপনী দিনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনার শেষ দিকে বাউল প্রোগ্রামের পূর্বে উপস্থাপক গিয়াস এসে যখন মাইক্রোফোন হাতে জানালো, সেলিম চৌধুরীর গলায় কাঁটা বিধেছে। তাই উনি গান গাইতে পারবেন না। তখন আমি আশ্চর্য হলাম।
শুধু আমি নই, আশ্চর্য হয়েছেন সকল দর্শক শ্রোতাবৃন্দও। বড় হাস্যকর ব্যাপার!! তাই না!!
আমার তো মনে হয় সুনামগঞ্জেই সেলিম চৌধুরী আসেননি। আর যদি আসতেনই, যখন উনার নামে পুরস্কার ঘোষনা করা হল তখন উনি কই ছিলেন?
হাছনরাজা পরিষদের সকল কলাকূশলী যারা রয়েছেন তাদেরকে অনুরোধ করছি, মিথ্যে কথা বলে কি লাভ? কেনইবা আপনারা এসব মিথ্যে বলে হাছন রাজার আত্মাকে কষ্ট দিচ্ছেন? এবং নিজেদেরকে মিথ্যুক প্রমান করছেন? এসব মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে, মিথ্যে কথা বলে মানুষদের আর কত বিভ্রান্ত করবেন? সাধারণ মানুষদের ভবিষ্যতে আরশীতের রাতে এসব মিথ্যে বলে কষ্টনা দিবেন না প্লিজ!! আর একটা কথা না বললেই নয় ….বাপরে ! স্থানীয়শিল্পীদের গলার যে সুর, এক দিকে টান দিলে আরেক দিকে যায়……এ কারণেই সুনামগঞ্জে গত তিন-চার দশকেও একজন খ্যাতিমান শিল্পী তৈরি হতে পারেনি!!!