দেশে লোডশেডিং নাই বলা উচিত: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বর্তমানে দেশে লোডশেডিং নেই বলা উচিত। ব্যবস্থাপনার জন্য মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার মেগাওয়াট। তবে উৎপাদন হচ্ছে পাঁচ হাজার মেগাওয়াটের বেশি।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ কথা বলেছেন।
হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (ইজি বাইক) বন্ধ করা হবে না। কারণ এটি পরিবেশ বান্ধব। তবে বিদ্যুতের অপচয় রোধে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ইজিবাইকের চলাচল শহর ও গ্রামাঞ্চলে সীমাবদ্ধ রেখে হাইওয়েতে নিষিদ্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবদুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৬২ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে শিল্পে ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা
ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের উত্তরে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু জানিয়েছেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প-কারখানার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। বিসিকের আওতাধীন ৪ হাজার ২৫৪টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানার উৎপাদন ও বিপণন বিঘিœত হওয়ায় এ ক্ষতি হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত করতে, ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত দণ্ডাদেশ এবং তা কার্যকর করার বিরুদ্ধে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট বিভিন্ন অরাজনৈতিক, ধ্বংসাত্মক ও জনবিচ্ছিন্ন কর্মসূচি নেয়। এতে বাংলাদেশের চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ এক কোটি ২৮ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) আওতাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে সঠিক সময়ে কাঁচামাল আমদানি না হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণেও সমস্যা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে বলে জানান মন্ত্রী ।
সাইমুম সারোয়ার তাঁর সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, লবণ উৎপাদনের পরও লবণ আমদানি করা হচ্ছে কেন? ৯৯ ভাগ লবণ কক্সবাজারে উৎপাদন হয়। যথেষ্ট লবণ মজুদ থাকার পরও আমদানি করার কারণে এ বছর অর্ধেক লবণচাষী মাঠে নামেননি। সাইমুম সারোয়ারের এ প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। আমি সরেজমিনে সেখানে যাব। তদন্ত করে সঠিক তথ্য নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’