‘হত্যাতত্ত্ব বাজারজাতের চেষ্টায় খালেদা’
খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যার মিথ্যা তথ্য জনগণের কাছে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দেশকে সন্ত্রাসবাদ থেকে শান্তির জনপদে আনার চেষ্টা করছে তখন খালেদা জিয়া আবার মিথ্যাচার দিয়ে অশান্তি তৈরির পাঁয়তারা করছেন।
“খালেদা জিয়া স্বাভাবিক রাজনীতির পথ ত্যাগ করে অস্বাভাবিক রাজনীতির পথ নিয়ে মিথ্যাচার এবং সহিংসতাকে কৌশল হিসাবে নিয়েছেন। মিথ্যা কথা বলে অশান্তি-উত্তেজনা সৃষ্টির উস্কানি দিচ্ছেন।”
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে এক মাসে বিরোধী জোটের ৩০০ নেতা-কর্মীকে হত্যা অথবা গুম করা হয়েছে বলে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন খালেদা জিয়া।
নেতাকর্মী হত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি ওইদিন তিনি বলেন, “এভাবে বিনাবিচারে হত্যা-গুম একটি সভ্য সমাজে চলতে পারে না।”
বিএনপি কার্যালয়ের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৪২ জনকে হত্যা এবং ৬০ জনকে গুম করা হয়েছে বলেও দাবি করেন খালেদা।
খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন পরিকল্পিতভাবে দলীয়কর্মী হত্যাতত্ত্ব বাজারজাত করার অপচেষ্টা করছেন।”
খালেদা জিয়ার বিভিন্ন মিথ্যাচারের বর্ণনার পাশাপাশি আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার ঘটনাগুলোও সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন ইনু।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করার কল্পকাহিনী ফাঁদার অপচেষ্টা শুরু করেছেন। ১৫২ জন দলের নেতাকর্মীকে হত্যার মনগড়া গল্প বলে নতুন উত্তেজনা তৈরির পাঁয়তারা শুরু করছেন।
ইনুর মতে, রাজনৈতিক কর্মীর পরিচয় দিয়ে খালেদা জিয়া জঘন্য সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
“খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কর্মী এবং সন্ত্রাসী, দৃর্বৃত্ত, অপরাধী, খুনি, নাশকতাসৃষ্টিকারীদের মধ্যে পার্থক্য টানতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন।”
মন্ত্রী বলেন, এইসব জঘন্য অপরাধীদের বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
“তবে এক রাউন্ড গুলি করলে তার জবাব দিতে হবে। আইন বহির্ভূত কোনো ঘটনা, কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকলে তার তদন্ত হবে। দোষীদের বিচার হবে।”
অন্যদের মধ্যে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।