কাজ শেষ হবার আগেই ধ্বসে যাচ্ছে সেতুটি
ছাতকে নোয়ারাই ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে নোয়া খালের উপর সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিক মিয়া সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে নির্মিত অংশ ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাকিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সাইফুল আলমকে নোটিশ প্রদান করেছেন। নোয়া খালের উপর সেতু নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাকিল এন্টারপ্রাইজ’র উপর ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সেতুটির কাজ শেষ হবার আগেই নির্মিত অংশের কয়েকটি স্থানে ফাটলসহ নির্মিত অংশ ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়ে দাড়িয়েছে।
স্থানীয়রা সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বলেলেও সিমেন্ট দিয়ে ফাটল ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এলাকার সাবেক মেম্বার আব্দুল মছব্বিরসহ স্থানীয়রা গত ৯ ফেব্রুয়ারি ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, টেন্ডারের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদ থেকে ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অধিনে ২৭লক্ষ টাকার সেতু নির্মাণ কাজটি গ্রহন করে দোয়ারাবাজারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাকিল এন্টারপ্রাইজ।
কার্যাদেশ পাবার পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিডিউল অনুযায়ী সেতুর নিচে পাইলিং, ইট সলিন ও সিসি ঢালাই ছাড়াই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে দেয়। পিলারে ৬ইঞ্চি স্কয়ার রডের পরিবর্তে ১৮ইঞ্চি স্কয়ার রড, ৫ী৫ী১ সিমেন্ট ব্যবহারের স্থলে ১২ী১২ী১ সিমেন্টসহ টিলার লাল পাথর নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে নির্মাণ কাজ শেষ হবার আগেই সেতুর দুটি এপ্রোজ, পিলারসহ ঢালাই কাজে বড়-বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। সেতুর নির্মিত অংশের বালু-পাথর ক্রমেই ধ্বসে পড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় মুহিন উদ্দিন, লাল মিয়া, মনোহর আলী, মিরাজ খা, জহিরুল হক, কমর আলী, রেদওয়ানুল হক, ইদ্রিস আলীসহ লোকজন জানান, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে সেতু নির্মাণে নিুমানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সেতুর কিছু অংশ নির্মাণ করলে তা আবার ধ্বসে যাচ্ছে। ছাতক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিক মিয়া জানান, সেতু নির্মাণ কাজে দূর্নীতি ধরা পড়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্মাণাধিন অংশ ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে।