‘২০৪১ সালের মধ্যে ধনী দেশ হবে বাংলাদেশ’
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ধনী দেশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান করে নেবে বলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের বিশেষ অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ‘লাগসই প্রযুক্তি’ উদ্ভাবনের জন্য গবেষকদের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তা দিয়ে বিপুল জনশক্তিকে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে পারলেই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বব্যাপী জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও অনুশীলনের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানাই।”
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা গবেষণায় যুক্ত, তাদের অবসরের বয়সসীমা শিথিল করার সিদ্ধান্তও সরকারের রয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না, সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করবে এবং ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। সেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশের সম্পদের সীমাবদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে গবেষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ দিতে হয়। তারপরও দেশের সাধারণ নাগরিকদের দেয়া করের টাকায় গবেষণা খাতে অনুদান ও ফেলোশিপ দিচ্ছে সরকার। এ সহায়তা আমাদের ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে যাতে সহায়ক হয় সে বিষয়ে গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করার জন্য আমি অনুরোধ জানাই।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করতে চাই যে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা উন্নয়নে আমাদের জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশে যেভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন সে পথ অনুসরণ করে আমাদের সরকারও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় আর্থিক অনুদানসহ সকল প্রকার সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা হবে।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ ও বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরিই এ প্রকল্পের লক্ষ্য।
বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ ছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি পরবর্তী পর্যায়ের শিক্ষর্থী ও গবেষকদের মধ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ দেয়া হয়। এর আওতায় ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে ২০১২-১৩ অর্থ বছর পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩৩ জন শিক্ষর্থী ১৭ কোটি ২ লাখ টাকা পেয়েছেন। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ১০০১ জন শিক্ষর্থী ও গবেষককে ৬ কোটি ২৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেয়া হবে।