শেষ হলো শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব
দিরাই উপজেলার উজানধল মাঠে ‘শোষক তুমি হও হুঁশিয়ার, চল এবার সাবধানে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় ও আব্দুল করিম পরিষদ এর উদ্যোগে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ৯৮ তম জন্ম দিন উপলক্ষে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসবের সাঙ্গ হলো বসন্ত বাতাসে।
ফাগুনের আগুন ঝড়া দিন শেষে বসন্ত বাতাসের সাথে ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর ঢোল, একতারা, দুতারা, মন্দিরার শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে কালনীর নীলব জল। দল বেধে জড়ো হতে থাকেন করিম ভক্তরা।
শনিবার বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের প্রোপৌত্র, ছয় বছরের শিশু শাহ নূরআলম ওরফে ঝলক শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় লোক উৎসবের উদ্ধোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন শাহ আব্দুল করিমের আজীবন সঙ্গী বাউল শাহ আব্দুল তোয়াহেদ। প্রথমেই বাউল সম্রাটের একমাত্র পুত্র শাহ নূরজালাল ‘আমি বাংলা মায়ের ছেলে’ এ গান দিয়ে সমবেত কণ্ঠে আসরের শুরু করেন।
শাহ আব্দুল করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘কেন পিড়িতি বাড়ালেরে বন্ধু ছেড়ে যাবে যদি’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানে দুঃখের আবহ বইলে হঠাৎ করে এক শিল্পী গেয়ে উঠেন, বসন্ত বাতাসে সইগো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে গানটি সাথে সাথে অনুষ্টানে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসে এর পরে একে একে ক্লোজ-আপ ওয়ান তারকা সাজু, কাজী শুভ, বাউল বশির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম, বাউল আব্দুর রহমান, সিরাজ উদ্দিন, রনেশ ঠাকুর, সাব্বির হোসেন, আজগর আলী, ফারুক মিয়া, দুঃখু মিয়া, লালশাহ, হেপি রানী, জুই চক্রবর্ত্তী শাহ আব্দুল করিমের কালজয়ী গানগুলো পরিবেশন করেন।
রোববার সমাপনী দিনে উৎসবে উপস্থিত ছিলেন দিরাই পৌর সভার মেয়র আজিজুর রহমান, তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হক প্রমূখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলন কবি নিরেশ চন্দ্র রায়।
অুনষ্ঠানে বক্তরা শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব সরকারী পৃষ্টপোষকতায় আয়োজনের দাবী করেন।