জুনে পদ্মাসেতুর ওয়ার্ক অর্ডার : কাদের
পদ্মা বহুমুখী মূল সেতু ও রোড অ্যান্ড রেল ভায়াডাক্ট-এর কারিগরি দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। কারিগরি মূল্যায়ন শেষে জুন মাসের শেষ ভাগে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া তিনটায় রাজধানীর সেতু ভবন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ১৩২৯.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দরপত্র গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ছিল। ঠিকাদারদের অনুরোধে পর পর চার বার সময় বর্ধিত করা হয়। সর্বশেষ ৯ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংকের প্রিকোয়ালিফাইড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লি., ডেলিম –এল অ্যান্ড টি জেভি এবং স্যামসাং সি অ্যান্ড টি ক্রপ কারিগরি দরপত্র জমা দেয়। কারিগরি মূল্যায়ন প্রায় শেষ জুন মাসের শেষভাগে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া সম্ভব হবে।
মন্ত্রী বলেন, একইসঙ্গে ৭৭৭.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রাক্কলিত ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদীশাসন কাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রিকোয়ালিফাইড পেনটা-ওসান কনস্ট্রাকশান কো. লি., হুনডাই ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কো. লি., পদ্মা আরটিসি জয়েন্ট ভেনচার, বেলজিয়ামের জান ডি নাল এনভি, সিনোহাড্রো করপোরেশন লি. মোট পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় কারিগরি দরপত্র জমা দিয়েছে। মূল্যায়ন শেষে জুন মাসে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পাশাপাশি আসন্ন বর্ষায় মাওয়া পয়েন্টে নদী ভাঙন রোধ করতে মূল প্রকল্পের বাইরে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রিভার প্রটেকশন’ প্রকল্প বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই প্রতিরক্ষার জন্য ৭শ’ কোটি টাকায় আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ বা অর্থায়ন নিয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি নেই। জিওবি অর্থে সেতুর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। আমরা আশা করি, এ সেতু নিয়ে কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করবেন না। কারণ, এটা দেশের মানুষের স্বপ্ন। দেশের বাইরেও অনেক প্রবাসী অপেক্ষায় রয়েছেন কবে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু হবে।