খেলাধূলা ও শরীরচর্চা অপরিহার্য : প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড সিলেট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, খেলাধূলা শিক্ষার্থীদের মননশীলতা বাড়ায়। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া এবং সংস্কৃতিতেও সাফল্য অর্জনের চেষ্টা চালাতে হবে।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৪ এর চূড়ান্ত পর্ব ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের খেলার মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, ক্রীড়া আর বিনোদনে শিশু-কিশোরদের আরো বেশী অংশগ্রহনের সুযোগ দিলে তাদের মেধা দ্রুত বিকাশ লাভ করে। তবেই আজকের শিশু-কিশোরেরা আগামীতে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি আরো বলেন, গতবছরও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। এ কলেজের পরিবেশ আমার বরাবরই ভাল লাগে।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মেজর ছয়ফুল কবীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর দিলীপ কুমার মজুমদার, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, সিলেট এমসি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা কবীর চৌধুরী, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুল হক প্রমুখ।
এসময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাদের পরিবারের সদস্যরাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসার পর কলেজের বিএনসিসি প্লাটুুনের চৌকষ সদস্যরা তাদের গার্ড প্রদান করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান এবং গীতাপাঠ করেন শিক্ষার্থী সাগর বিশ্বাস।
পরে অভিবাদন মঞ্চে উঠেন প্রধান অতিথি প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মেজর ছয়ফুল কবীর চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ সৈয়দ মহিবুল ইসলাম এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক কল্পনা তালুকদার। জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে তারা জাতীয় পতাকা, অলিম্পিক পতাকা ও কলেজের পতাকা উত্তোলন করেন।
এরপর কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের বিএনসিসি প্লাটুন ও রোভার স্কাউট দল অতিথিদের সালাম জানায়।
কুচকাওয়াজের পর প্রধান অতিথি প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনের পর মশাল প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। কলেজের শিক্ষার্থী জাকারিন আলম চমক মশাল হাতে নিয়ে দৌড়ে পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করেন।
পরে শুরু হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দুটি গ্রুপে ১০০-২০০ ও ৪০০ মিটার দৌড়, রীলে দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, বর্শা নিক্ষেপসহ বিভিন্ন খেলা অন্তর্ভুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতার পর অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষকদের পিংপং বল প্রতিযোগিতা, মহিলাদের মিউজ্যিকাল পিলো প্রতিযোগিতা এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্ট।
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে দুপুর ২টায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তোলে দেন অতিথিবৃন্দ।