মধ্যরাত থেকে প্রচারণা বন্ধ হয়েছে ১১৬ উপজেলায়
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে সব প্রকার প্রচারণা বন্ধ করা হয়েছে ১১৬ উপজেলায়। ভোটগ্রহণের পরবর্তী ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (ইসি)।
বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।
সকাল ৮টা থেকে নিরবিচ্ছন্নভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। উপজেলা নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের পরবর্তী ৬৪ ঘণ্টায় পর্যন্ত ১১৬ উপজেলায় কোনো ব্যক্তি জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে পারবে না। এছাড়া প্রার্থীরা কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রায় যোগদান করতে পারবেন না।
এই আইন অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি। এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন বলেন, আমরা একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। কেউ যদি কোনো আইনের ব্যত্যয় ঘটায় তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’
ইসি দ্বিতীয় ধাপে ১১৭টি উপজেলা পরিষদের তফসিল ঘোষণা করেছিল এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ১ মার্চ।
এক নজরে ১১৬ উপজেলা: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, চিরিরবন্দর,বিরামপুর, বীরগঞ্জ, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম,হাতিবান্ধা ও সদর, রংপুরের বদরগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, রাজারহাট,রাজীবপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই, সদর, বগুড়ার কাহালু, শিবগঞ্জ, আদমদীঘি, শাজাহানপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর,নওগাঁর আত্রাই, বদলগাছি, নিয়ামতপুর, পত্নীতলা, সাপাহার ও সদর।
রাজশাহীর বাঘা, নাটোরের সদর, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, লালপুর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, মেহেরপুরের গাংনী,মুজিবনগর, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, ঝিনাইদহের মহেশপুর,যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, বাঘারপাড়া, শার্শা, মাগুরার মহম্মদপুর, শালিখা, বাগেরহাটের কচুয়া, ফকিরহাট, খুলনার ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, ভোলার চরফ্যাশন, বোরহানউদ্দিন, বরিশালের সদর, পিরোজপুরের কাউখালী, নাজিরপুর, টাঙ্গাইলের সখীপুর, জামালপুরের ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ,মেলান্দহ, শেরপুরের ঝিনাইগাতি, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ।
ভালুকা, সদর, নেত্রকোনার কলমাকান্দা, খালিয়াজুরী, পূর্বধলা, বারহাট্টা, মানিকগঞ্জের সদর, হরিরামপুর, মুন্সীগঞ্জের সদর, শ্রীনগর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, সাভার, নরসিংদীর শিবপুর, ফরিদপুরের নগরকান্দা, বোয়ালমারী,সালথা, গোপালগঞ্জের সদর, কোটালীপাড়া, মাদারীপুরের রাজৈর, শিবচর,
সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ সদর, দিরাই, সিলেটের বালাগঞ্জ।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, কুমিল্লার দেবীদ্বার, মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, চাঁদপুরের সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, মতলব (দক্ষিণ),মতলব (উত্তর), ফেনীর পরশুরাম, সদর, নোয়াখালীর কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, চাটখিল, সদর, সোনাইমুড়ী, চট্টগ্রামের পটিয়া, লোহাগাড়া, কক্সবাজারের পেকুয়া, ,চকরিয়া, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, রাঙামাটির কাপ্তাই, ননিয়ারচর, বান্দরবানের থানছি, রুমা রোয়াংছড়ি ও লামা।
এই ১১৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ৫০৫ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১১ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১১৬ উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬২ হাজার ৬৪৮ ভোট।
এর মধ্যে নারী ভোটার ৯৮ লাখ ২১ হাজার ৭৮০ জন ও পুরুষ ভোটার ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৮৬৮ জন। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫১ হাজার ৩৫৫টি, ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮ হাজার ৬৩টি।