বাউল কামাল পাশাকে মরণোত্তর এ্যাওয়ার্ড প্রদান করলো ড. মমিনুল হক একাডেমী
মরমী সংস্কৃতিতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের কৃতি সন্তান গানের সম্রাট বাউল কামাল উদ্দিন (কামাল পাশা)কে মরণোত্তর এ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে যুক্তরাজ্যস্থ স্বেচ্ছাসেবী গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ড. মমিনুল হক একাডেমী।
৩রা মার্চ সোমবার “ইতিহাসবিদ ড.মুমিনুল হক একাডেমী এ্যাওয়ার্ড-২০১৪” শীর্ষক মরণোত্তর সম্মাননা স্মারকটি বাউল কামাল পাশা স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্টাতা আহবায়ক সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল এর হাতে হস্তান্তর করেছেন গবেষক সুবাস উদ্দিন, শিল্পী আবুল কাশেম চৌধুরী ও এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজক ফারুকুর রহমান চৌধুরী।
এর পূর্বে ১লা ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের দিরাই কলেজস্থিত রাগীব রাবেয়া ভবনে এ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। দিরাই কলেজ অধ্যক্ষ মিহির রঞ্জন দাস এর সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দিরাই পৌরসভার প্যানেল মেয়র জয়নুল হক চৌধুরী, দিরাই কলেজ এর অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তালুকদার, লোকগীতি সংগ্রাহক গবেষক সুবাস উদ্দিন, মমিনুল হক একাডেমীর সিলেট বিভাগীয় উপদেষ্টা কবি সাংবাদিক এম শহিদুজ্জামান চৌধুরী ও বাউল কামাল পাশা স্মৃতি সংসদের সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বক্তারা প্রয়াত লোককবি বাউল কামাল পাশার জীবন দর্শন ও ইতিহাসবিদ ড.মমিনুল হক এর কৃতিত্ব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে লোকসঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য মরহুম বাউল কামাল পাশাকে মরণোত্তর এবং গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ফারুকুর রহমান চৌধুরীকে “ইতিহাসবিদ ড.মুমিনুল হক একাডেমী এ্যাওয়ার্ড-২০১৪” প্রদান করা হয়। এছাড়াও দিরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ জন, উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন এবং দিরাই ডিগ্রী কলেজের ৯ জন মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদেরকে এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে। প্রধান অতিথির কাছ থেকে বাউল কামাল পাশা মরনোত্তর সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন গবেষক সুবাস উদ্দিন ও শিল্পী আবুল কাশেম চৌধুরী।