‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে বিমসটেক
আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তেলার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নে পি দওয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই আঞ্চলিক জোটের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এই আশার কথা জানান।
তিনি বলেন,‘বিমসটেকের লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা আমি পুনর্ব্যক্ত করছি। আমাদের সবাইকে আমাদের সাধারণ লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার সম্ভাবনা এই জোটের আছে। বিশেষ করে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নে এই জোট ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসাবে গড়ে তোলার অভিযাত্রায় একটি পদক্ষেপ এই ‘ভিশন ২০২১’।
‘বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমাদের সব যৌথ সিদ্ধান্ত ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে কার্যকর গতি আসবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
আর এই সচিবালয় স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে বেছে নেয়ায় জোটভুক্ত দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সচিবালয় সব ক্ষেত্রে আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা পাবে-এই নিশ্চয়তা আমি, দিচ্ছি। বিমসটেকের প্রথম মহাসচিবকে ঢাকায় স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।’
নে পি দওয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয় বিমসটেক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ‘সমতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে’ জোটভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা সংহত করার ওপর জোর দেন।
এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে- সংহতি ও সমৃদ্ধির জন্য অংশীদারিত্ব।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ বিমসটেকভুক্ত দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।