ইমনদের পিতারা যে পথে হেঁটে ছিলেন আমি সেই পথে হাটতে চাই : পীর হাবিব
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক সাংসদ মিসবাহ’র বড় ভাই পীর হাবিবুর রহমান বলেছেন, যে আর্দশ আর নীতির পথে হেঁটেছিলেন ইমনের পিতা প্রয়াত আব্দুর রইছরা আমি তাদের পথ ও নীতি আর্দশের পথে হাটতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার আদরের ছোট ভাই ইমনের জন্য মায়া হয়, দুঃখ হয়। ইমনের বড়ভাই ফজলুল কবীর তুহিনের সঙ্গে ৭৩ সাল থেকে আমার বন্ধুত্ব, আমাদের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম অবিচ্ছেদ্য। ইমনের পিতা আব্দুর রইছ আমার কাছে পিতৃতূল্য ছিলেন। তাঁর মাতা মরহুমা রফিকা রইছ চৌধুরী আমার কাছে মায়ের আসনে ছিলেন। ইমনের বাবা-মা’র কাছ থেকে পুত্র স্নেহ পেয়েছি। তাদের পরিবারের জন্য আমি কী করেছি তা পরিবারেই সকলেই জানেন। আমি এবং তুহিন, আমাদের দুই বন্ধুর দুই বাড়িতে, দুই পরিবারে অভিন্ন যৌথ পরিবারের পরিবেশ ছিল। দুই বাড়ির রান্নাঘরই দুই পরিবারের জন্য খোলা ছিল।
বসন্ত উৎসব মঞ্চে আমি আমার ছোট ভাই ইমনের নাম ধরে কোনো বক্তব্য দেইনি। আমি বলেছিলাম পাওয়ার স্টেশনের নামে ধানি জমি অধিগ্রহণ করার পেছনে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ইমনের আমি বরাবর কল্যাণ চেয়েছি। তার নাম না নেওয়ার পরও যেভাবে শালিনতার পর্দা ছিড়ে যুব লীগের ছেলেদের দিয়ে মিছিল করানো হয়েছে, তাতে সুনামগঞ্জের রাজনৈতিক শিষ্টাচারের উপর আঘাত আনা হয়েছে।
আমার বক্তব্যের জবাব আরেকটি অনুষ্ঠান বা সমাবেশে অভিযোগের ব্যাখ্যাসহ দেওয়া যেতো। এটাই গণতন্ত্রের পথ। কোন কোন স্থানীয় দৈনিকে ব্যারিস্টার ইমনকে আমি দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করেছি বলে যে সব সংবাদ ছাপা হয়েছে তা ঠিক নয়। আমি কোথাও তার নাম নেইনি। আমি বক্তৃতায় আমার ভাই পীর ফজলুর রহমান মিসবাহকে উদ্দেশ্যে করে বলেছিলাম, জনগণকে দেওয়া অঙ্গীকার না রাখতে পারলে আমি তাঁর সঙ্গেও থাকবো না। আমি সত্য, সুন্দর ন্যায়ের জন্য লড়েছি, লড়বো। যে পথে হেঁটেছিলেন ইমনের পিতা প্রয়াত আব্দুর রইছরা।’