ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় জামিন পেলেন মিলন, ১১ নেতাকর্মী জেল হাজতে
সুনামগঞ্জের ছাতকের টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুদুল ইসলাম হত্যা মামলায় উপজেলা বিএনপি ও অংগ সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলনসহ ১৩ জন নেতাকর্মী আমল গ্রহনকারি জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালত ছাতক জোন এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
এ আদালতের বিচারক অরিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও বিএনপি নেতা শামসুর রহমান বাবুলের জামিন মঞ্জুর করেন। অপর ১১ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
এরা হচ্ছেন, ছাতক পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান মামছু, সাংগঠনিক সম্পাদক হিজবুল বারী, পৌর যুবদল সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক খায়ের উদ্দিন, যুবদল নেতা খোকন, মুহিবুল রহমান জিলান, বাবলা দাস, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল বাকী মুহিত, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন, ফাইদুল আহমেদ রাহেল, মোমেন ইমদাদ কানন ।
বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মানিক লাল দে, অ্যাডভোকেট শহিদুল হাসমত খোকন।
অপরেিদক আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, অ্যাডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, অ্যাডভোকট মল্লিক মঈন উদ্দিন সোহেল, অ্যাডভোকেট জহুর আলী, অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম।
উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর ছাতক টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুদুল ইসলামকে হরতাল চলাকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা হকিস্টিকসহ বিভিন্ন দের্শী অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুররত আহত করে।
এ ঘটনায় বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪০ জন নেতাকমী আহত হয়।
৮ ডিসেম্বর দিনগত রাত মাসুদুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়।
১০ ডিসেম্বর মাসুদুল ইসলামের চাচাতো ভাই আমিনুর রশিদ বাদি হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনকে ১নম্বর আসামী করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।