একজনেরও চাকুরি যাবেনা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো.নাসিম। একইসঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর একজনেরও চাকুরি যাবেনা বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

এছাড়া চট্টগ্রাম সরকারী জেনারেল হাসপাতালে আরও এক হাজার শয্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সোমবার বিকেলে নগরীর লালদিঘী ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় মন্ত্রী বলেন, আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের কাজ আজ এই মুহুর্ত শুরু হয়েছে। আমি ঘোষণা দিচ্ছি, বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একজনেরও চাকুরি যাবেনা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কারও উসকানিতে বিভ্রান্ত হবেন না। আপনাদের কারা উসকানি দিচ্ছে আমরা জানি। একটি মহল চায়না চট্টগ্রামের উন্নয়ন হোক। শেখ হাসিনার সরকার কোন উন্নয়ন করুক, তারা সেটা চায়না।

তিনি বলেন, চক্রান্ত করে কোন লাভ হবেনা। শেখ হাসিনাকে আপনারা ভোট দিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী করেছেন। শেখ হাসিনা যে আশ্বাস দিয়েছেন, যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সব একে একে পূরণ করা হবে। শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনারা কাজ চালিয়ে যান। হাসপাতালে যেন রোগী, দরিদ্র মানুষ যথাযথ চিকিৎসা সেবা পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। হাসপাতালে যেন টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, কোন ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ড না হয় সেদিকে সতর্ক থাকবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর সহযোগিতা চেয়ে বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভাষা বোঝেন। আপনারা কোন আন্দোলন ছাড়াই, রক্ত না ঝরিয়েই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছেন। আপনারা আমাকে সহযোহিতা করুন। আপনারা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে দেখানোর আহ্বান জানালে জনতা উচ্ছ্বসিত সমর্থন জানান। তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমার বিশ্বাস, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় সুনাম অর্জন করবে।

জেনারেল হাসপাতালে এক হাজার শয্যা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়মত এক হাজার শয্যা বাড়ানো হবে। সব একসাথে করা যাবেনা।

‘শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত হচ্ছে’
জনসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করছে কিছু ষড়যন্ত্রকারী।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করে কোন লাভ হবেনা। আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকব। ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে মন্ত্রী বলেন, আপনি সরকারের ভুল ধরিয়ে দেন। কিন্তু নৈরাজ্য করবেন না।

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেয়র ও পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা.সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা.ইমরান বিন ইউনূস, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা.এ কিউ এম সিরাজুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর প্রমুখ।

x