বিরোধীতার সিদ্ধান্তহীনতায় বিরোধীদল
নতুন সরকার গঠনের দুই মাস হতে না হতেই বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। গড়ে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিকদল ও নাগরিক সংগঠন। তবে দাম বাড়ানোর পাঁচদিন পরেও প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিরোধীতা করবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে দলটি।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিন্ধান্তকে স্বাগত জানাবেন, না কি বিরোধীতা করবেন তা নিয়ে শীর্ষ নেতাদের একেকজন একেক কথা বলছেন। একটি অংশ বলছে, সংসদে এর প্রতিবাদ জানানো হবে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তা নিয়ে দলীয় ফোরামে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার পরিবর্তনকে বলেন, “বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জনমত যাচাই হয়নি। এই বাড়তি মূল্য বহন করা জনগনের জন্য কষ্টসাধ্য। এতে গোটা জাতীর ওপর চাপ। আমি সরকারকে পুণরায় বিষয়টি বিবেচনার জন্য বলবো।”
এই বক্তব্য দলীয় সিদ্ধান্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত বক্তব্য। এ বিষয়ে এখনো দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি। দলীয় সিদ্ধান্ত হলে আপনাদের জানাবো।”
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ পরিবর্তনকে বলেন, “ সংসদে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবো। বিষয়টি সংসদে তুলবো”।
দলীয়ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই বিষয়টি আমি ঠিক বলতে পারবো না। দলের মহাসচিব বলতে পারবেন। আমি ঢাকার বাইরে আছি।”
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মশী পরিবর্তনকে বলেন, “ সংসদে বিরোধীদল এর প্রতিবাদ জানাবে। ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) বলেছেন, তিনি বিষয়টি সংসদে তুলে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করবেন।”
গত ১৩ মার্চ বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সরকার। বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য মার্চ মাস থেকেই চালু হচ্ছে। (পরিবর্তন)