শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাকারী মুরাদ কারাগারে
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি নাজমুল মাকসুদ মুরাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. হাবিবুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মুরাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত দায়রা মামলা নং ৪৯৯/৯৯।
এছাড়া একই ঘটনায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় ও মতিঝিলের পলাশ হত্যা মামলায় মুরাদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তাকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল।
এর আগে দুপুর পৌনে ২টার দিকে মুরাদকে আদালতে হাজির করা হয়।
ইন্টারপোলের সহায়তায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মুরাদকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতার করে বুধবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, বিভিন্ন মামলার আসামি মুরাদ ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিস ইস্যু করে ইন্টারপোলের সহযোগিতা কামনা করে সিআইডি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার আটলান্টা শহর থেকে মুরাদকে গ্রেফতার করে। এরপর বুধবার সিআইডির কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
আব্দুল কাহার আকন্দ জানান, নাজমুল মাকসুদ মুরাদ বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলার অন্যতম আসামি। ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ৭ থেকে ৮ জনের একটি সন্ত্রাসী দল বেবিট্যাক্সিতে করে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির বাড়িতে গিয়ে গুলি বর্ষণ, গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালায়।
ওই সময় কর্তব্যরত হাবিলদার জহিরুল হক ও কনস্টেবল জাকির হোসেন পাল্টা গুলি চালালে সন্ত্রাসীরা ‘কর্নেল ফারুক জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (নম্বর-২৪)। মামলার তদন্ত শেষে সিআইডির তৎকালীন পুলিশ সুপার খালেকুজ্জামান ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
নাজমুল মাকসুদ মুরাদ ওই মামলার অন্যতম আসামি। এছাড়া, মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা রয়েছে বলেও জানান আব্দুল কাহার আকন্দ।