‘জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে’
জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ জন্য গতানুগতিক প্রচলিত শিক্ষার পরিবর্তে আধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানীর সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে টি কিউ আই-২ (টিসার্স কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট) প্রকল্পের আওতায় ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : শিক্ষক কর্তৃক ডিজিটাল উপকরণ তৈরি’ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির ৭ম ব্যাচ ১৯তম কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব মন্তব্য করেন। এ প্রশিক্ষণে ঢাকা বিভাগের মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯০ জন শিক্ষককে তাদের পাঠদান পদ্ধতি আরও সহজ, প্রাঞ্জল ও মূর্ত করে তোলার লক্ষ্যে ১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
শিক্ষাখাতে তথ্য প্রযুক্তির সম্প্রসারণ আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এখন ফর্ম ফিলআপ, রেজিস্ট্রেশন, পুনঃনিরীক্ষা, পরীক্ষার ফল প্রকাশ, বিভিন্ন আদেশ-নির্দেশসহ প্রায় সব কাজই অনলাইনে চলছে। আমরা দেশের ২৩ হাজার ৩শ স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবস্থা চালু করেছি। অনেক প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব করা হয়েছে।’
শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে স্বচ্ছ, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। দেশের উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নাই।’
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির পদ্ধতি, কম্পিউটার চালনা, তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক পাঠদান পদ্ধতি শিখানোর আহ্বান জানান।
সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দীপক কুমার নাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টি কিউ আই-২ প্রকল্পের পরিচালক বনমালী ভৌমিক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমন্বয়ক মোঃ আবদুল্লাহ আবু তারেক, প্রশিক্ষণার্থী ও প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত এ প্রকল্প থেকে দেশের ১৪টি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে মোট প্রায় ৬ হাজার জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের মোট ৬০ হাজার শিক্ষককে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ সব শিক্ষক তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বসেই সরকার প্রদত্ত মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাসরুমে ব্যবহারের জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।