দিরাইয়ে পৃথক সংঘর্ষে আহত ৩৫
দিরাইয়ে উপজেলার মানিকদা ও নাচনী চণ্ডিপুর গ্রামে বুধবার পৃথক সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত ৪ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অন্যান্যদের দিরাই উপজেলা স্ভাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গুরুতর মানিকদা গ্রামের আহত আজিজুল হকের ছেলে মহিম উদ্দিন (৩০), রাজধর মিয়ার ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (২৭), আমির আলীর ছেলে মুস্তাকিম (২৫), ইউসুফ আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগমকে (৬০) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং আলাউদ্দিনের স্ত্রী শিল্পী বেগম (৩৫), মফিজ আলীর ছেলে আব্দুল গণি (৩২), নূর জালাল (৩৫), রূপ মিয়ার স্ত্রী তাজমহল বেগম (৩০), মরতুজ আলী ছেলে ইদ্রিস আলী (৬০), সিদ্দিক আলী (৫৫), আমির আলী (৬৫), আমির আলীর ছেলে আল আমিন (৩০), আজিদ মিয়া (৩৫), আক্কল আলীর ছেলে সিরাজ (৫৭), মজিদ মিয়ার স্ত্রী রুনা বেগম (২৫), ইকরাম আলীর ছেলে জাফর আলী (৩৫), আমির হোসেনের ছেলে সামছুল মিয়া (৩৩), দরছ আলীর ছেলে মোহাব্বির আলী (২২), আলী হোসেন (১২), শিবের আলীর ছেলে আজিত মিয়াকে (২৭) দিরাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের মানিকদা গ্রামে জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘ দিনধরে আমির আলী ও নীলফর মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উভয় পরে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে কমপে ২৫ আহত হয়।
অপরদিকে উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের নাচনী চণ্ডিপুর গ্রামে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ নিয়ে দু’পরে মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত নাচনী চণ্ডিপুর গ্রামের রূপচান রবির ছেলে সঞ্জিত রবি দাস (২০), রূপচান রবি দাসের স্ত্রী কাঞ্চন রবি দাস (৫০), কুলসুম রবি দাস (২৮), মতিলাল রবি দাস (৫০), ময়না মতি দাস (৪০), নিয়তি রবি দাসকে (৪৫) দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে ।
অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জনান, সকাল ৯টায় গ্রামের মতিলাল দাস ও সঞ্জিত দাস দীর্ঘদিন ধরে একই মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছে। গত এক বছর ধরে মতিলাল কোন ধরণের বিল পরিশোধ না করায় সঞ্জিত দাস তাকে বিদ্যুৎ বিলের টাকা পরিশোধের তাগাদা দিয়ে আসছেন। সকাল ৯টায় গ্রামের মতিলাল দাস ও সঞ্জিত দাসের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে
এতে কমপে ১০ জন আহত হয়
দিরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওসি নাছির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ মিররকে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।