দুই মাসের মধ্যে ছয় হাজার চিকিৎসক নিয়োগ

আগামী দুই মাসের মধ্যে ৬ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

এ প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে বিসিএস’র মাধ্যমে ছয় হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি শিগগিরই শিশুদের জন্য ৪০টি বিশেষ হাসপাতাল করা হবে।’

রোববার বিকেলে রূপসী বাংলা হোটেলে বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতির (বিপিএ) ১৮তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন এবং সাউথ এশিয়া পেডিয়াট্রিক এ্যাসোসিয়েশনের(এসএপিএ) দুই দিনব্যাপী প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, শিশুদের জন্য হাসপাতালের সংখ্যা অনেক কম। ঢাকাতে একটি থাকলেও সেটি স্বায়ত্তশাসিত। কিছু দিন আগে নবজাতকদের জন্য আমি একটি বিশেষ হাসপাতাল উদ্বোধন করেছি। খুব শিগগির এমন আরও ৪০টি শিশু হাসপাতাল করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে প্রায় ৬ হাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিসিএস’র মাধ্যমে আরও ৬ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য সেবা মানুষের হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘মায়ের মমতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিশুদের সামনে হাজির হয়েছেন। প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী কম করে হলেও একজন শিশুকে নিজ হাতে পোলিও খাওয়াচ্ছেন।’

‘চিকিৎসার সময় ডাক্তার রোগীকে সময় দিলে রোগীর রোগ অর্ধেক ভালো হয়ে যায়’ বলেও এ সময় উল্লেখ করেন নাসিম।

তিনি বলেন, ‘গত কয়েকমাস ধরে প্রধানমন্ত্রী ও আমি নিয়মিত চিকিৎসকদের বলছি, আপনারা গ্রামে থাকেন, এটি আপনাদের দায়িত্ব।’

চিকিৎসকরা যেন গ্রামে থাকেন সে জন্য চিকিৎসক নেতাদের পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম বন্ধ করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতের যন্ত্রপাতি কেনাসহ যে কোনো অনিয়ম বন্ধ করা হবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হাসপাতালগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পদক্ষেপ নিচ্ছি।

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন,‘কোনো চিকিৎসক অনিয়ম করে ধরা পড়লে তার শাস্তির ক্ষেত্রে আপনারা বাধা দেবেন না। কথায় কথায় রোগীদের জিম্মি করে ধর্মঘট ডাকবেন না।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, গত কয়েক বছরে দেশে শিশু চিকিৎসায় উল্লেখ্যযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সরকার আইন করে দিয়েছে কৃত্রিম শিশুর দুধ বাজারজাত করা যাবে না। কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ’র কারণে এ আইন লঙ্ঘন হলে তার দায় আমাদের (চিকিৎসকদের)। সরকার এজন্য দায়ী থাকবে না।

বিপিএ’র সভাপতি অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ও এসএপিএ’র সভাপতি ডা. সি পি বনসালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, মহাসচিব অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সালান, বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বিপিএ’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. হামিদুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রূপসী বাংলা হোটেলে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সার্ক অঞ্চলের আট শতাধিক শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের মধ্য দিয়ে এ সম্মেলন শেষ হবে।

x