মন্ত্রিসভায় খালেদার বাড়ি ভাড়ার আলোচনা
অর্থাভাবে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাড়ি ভাড়া ‘দিতে না পারার’ বিষয়টি আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা মনে করেন, আলোচনার বাইরে থাকা খালেদা জিয়া বাড়ি ভাড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে নতুন কোন ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করতে চান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি ভাড়ার প্রসঙ্গটি উঠে আসে বলে জানান একজন মন্ত্রী।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাব তলব করে এনবিআর। মাসিক খরচ ৫০ হাজার টাকা তোলার অনুমতি দিয়ে বিগত সাত বছর ধরে জব্দ আছে খালেদা জিয়ার ৮টি ব্যাংক হিসাব।
সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে অর্থাভাবে বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না খালেদা জিয়া- এমন একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন বলে উপস্থিত ওই মন্ত্রী জানিয়েছেন।
ওই মন্ত্রী বলেন, কালো টাকা নিয়ে কারবারি করলে এনবিআর এ নিয়ে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। তারা মা-ছেলে যে অর্থ জালিয়াতি করেছে সেটা সবারই জানা।
আর আইনমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, খালেদা জিয়া বাড়ি ভাড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আইনমন্ত্রী বলেছেন, বাড়ি ভাড়া দিতে না পারার বিষয়টি নয়, এটা অন্য কোনো ষড়যন্ত্র।
খালেদা জিয়া বিষয়টি নিয়ে দেশের মানুষের সহানুভুতি নেওয়ার চেষ্টা করছেন কি না- এবং এ নিয়ে মামলা করতে পারেন কি না- ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।
খালেদা জিয়ার ব্যাংক হিসাবগুলো খুলে দেওয়া বা প্রতি মাসে আড়াই লাখ টাকা উত্তোলনের আবেদনও এনবিআরে মঞ্জুর হয়নি।
তবে কোন কোন মন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়ার যতটুকু প্রয়োজন তার একটা হিসাব দিলে সে পরিমাণ অর্থ উত্তোলনের সুযোগ করে দেওয়া ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় চুপ করে ছিলেন- বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত ওই মন্ত্রী।
খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর ২০১০ সাল থেকে গুলশানের একটি বাড়িতে বসবাস করে আসছেন, যার মাসিক ভাড়া প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা।