মৌলভীবাজার এএসপির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল
যবসায়ীকে নির্যাতন করার অভিযোগে মৌলভীবাজারের এক সহকারি পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনৈক ব্যবসায়ীর করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (সিকিউরিটি সেল), সিলেট রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ও কুলাউড়া সার্কেলের সহকারি পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই এএসপি হলেন- মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সার্কেলের আলমগীর হোসেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই সরকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্বরুপ কান্তি দে।
মৌলভীবাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম সজীব গত ২ এপ্রিল হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন।
আইনজীবী আব্দুল হাই সরকার (টুকু) সাংবাদিকদের বলেন, ফার্নিচার বিক্রি ও ঋণ বাবদ এএসপি আলমগীর ও তার বান্ধবী রাজিয়া সুলতানার নিকট সাইফুল ইসলাম ২৮ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। পাওনা টাকা চাওয়ায় এএসপি আলমগীর ব্যবসায়ী সাইফুলকে ঢাকা থেকে অপহরণ করে মৌলভীবাজার নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে ৪৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনটি মামলা করেন। যাতে তিনি ২ মাস ২০দিন কারাগারে ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, একটা পর্যায়ে এসে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হয়। তদন্তে অপরাধের প্রমাণও পাওয়া যায়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই এই রিট আবেদন করা হয়।