জঙ্গিবাদ না ছাড়লে দেশে আর নির্বাচন নয়

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া যতদিন সাম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গ না ছাড়বেন, ততদিন পর্যন্ত দেশে আর কোনোদিন নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে টার্মে দস্তখত দিতে হবে যে, তিনি জঙ্গিবাদ-রাজাকার জামায়াতের সঙ্গ ছাড়বেন। তাহলে এ দেশে আরেকটি নির্বাচনের কথা চিন্তা করবো। তা না হলে আর কোনো নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ রাজাকারদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কোনো ধরনের নির্বাচন দেখতে চায় না। তাই, রাজাকারদের সঙ্গে আর কোনো নির্বাচন নয়।

তিনি বলেন, খালেদা যতদিন জামায়াত-হেফাজত না ছাড়বেন, ততদিন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি ও বিপদজনক হয়ে থাকবেন।

‘খালেদা জিয়াকে গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে গণতন্ত্রের পথে আনতে হবে’ মন্তব্য করে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, না হয় তিনি পথহারা হয়ে যাবেন। একদিন তিনি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।

খালেদা জিয়ার আঁচল তল থেকে যতদিন জঙ্গিবাদ জামায়াত-হেফাজত বের না হবে, ততদিন এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকানো যাবে না।

ইনু বলেন, দেশে এখন দুটি ধারা তৈরি হয়েছে। একটি ধারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ আর চেতনার ধারা। আরেকটি হলো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আর ধ্বংসের ধারা। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি আর ধ্বংসের ধারার কাণ্ডারী।

সম্প্রতি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেন, খালেদা জিয়া কোনো পাগল নন। তিনি রাজনৈতিক পাগলামি করছেন। তিনি যা করছেন, তা সচেতনভাবে রাজনৈতিক শয়তানী। পদপদবী না পেয়ে খালেদা জিয়া এখন ইতিহাস বিকৃতির পথ বেছে নিয়েছেন।

দেশের সব নাগরিককে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সৃষ্ট যে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

’৭১ সালের বীরাঙ্গনারদের মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি ইনু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি জোর তদবির চালাবো।

‘সাপ্তাহিক জয়িতা’র উপদেষ্টা সম্পাদক যাযাবর স্বপনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জুয়েল, সম্পাদক সেলিনা আফরীন রীতা প্রমুখ।

x