ছাতকে ডাকাতের হামলায় ওসিসহ ১১ পুলিশ আহত
সুনামগঞ্জের ছাতকে ডাকাতের স্বীবারোক্তি মোতাবেক অস্ত্র ও লণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার অভিযানে গিয়ে সোমবার গভীর রাতে ডাকাতের হামলায় ছাতক থানা ওসি,এসআইসহ ১১ পুলিশ সদস্যসহ ডাকাত সর্দার রাজু ওরফে মোশাহিদ আহত হয়েছে।
ডাকাত সর্দার রাজু ওরফে মোশাহি কে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডাকাত সর্দার রাজু সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নওধার পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।
গুরুতর আহত ছাতক থানার কনস্টেবল গোলাম রব্বানী, রঞ্জিত দাস কে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ও আরআরএফ কনস্টেবল মনির হোসেন, আব্দুর রহিম, আল-ইমরান কে কৈতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাতক থানার ওসি শাহজালাল মুন্সি, এসআই মনজুর মুর্শেদ, এসআই হারুন অর-রশিদ, এসআই সাইফ উলাহ, এসআই গোলাম মোস্তফা, নাজমুল কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাত আড়াই টারদিকে গ্রেফতারকৃদ ডাকাত সর্দার রাজু ওরফে মোশাহিদ-এর স্বীকারোক্তি মোতাবেক রাজুকে নিয়ে ছাতক থানার ওসি শাহজালাল মুন্সির নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযানে যায়। রাত আড়াইটার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের বোকার ভাঙ্গা নামকস্থানে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ডাকাতরা পুলিশের উপর ককটেল হামলা চালিয়ে রাজু ডাকাতকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় পালাতে গিয়ে ডাকাত সর্দার রাজু গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পুলিশ সদস্যরা প্রতিরোধ গড়েতোললে হামলাকরি ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ৪টি তাজা ককটেল, গুলির খোসা, ২টি রামদা, ১টি কিরিচ উদ্ধার করে পুলিশ ।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুণ অর রশিদ সুনামগঞ্জ মিরর কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ডাকাত সর্দার রাজুকে ছাতক থানা পুলিশ রোববার রাতে জেলার জামালগঞ্জের একটি টেলিফোন সেন্টার থেকে গ্রেফতার করে।
রাজুর বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জর ছাতক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।