জিএসপি শর্ত পূরণের সময় বাড়লো
বাংলাদেশের জন্য জেনারেলাইজড সিস্টেম অফ প্রিফারেন্সেস বা জিএসপি শর্ত পূরণের সময় বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার।
বুধবার বিকেলে শ্রম মন্ত্রণালয়ে ‘থ্রি প্লাস ফাইভ’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
৩০ মার্চের মধ্যে জিএসপি শর্ত পূরণের কথা ছিলো। বাংলাদেশ জিএসপি শর্ত পূরণের অগ্রগতি লাভ করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব শর্ত পুরোপুরি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়।
মিকাইল শিপার বলেন, আমরা নির্দিষ্ট টাইম লাইনে সব কাজ শেষ করতে পারিনি। সব কাজ শেষ করতে নতুন টাইম লাইন নিয়েছি। তারা আমাদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরাও পরামর্শের বিষয়ে একমত পোষণ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা জুনের শেষ নাগাদ পরিদর্শক নিয়োগ শেষ করবো। জুলাইয়ের মধ্যে বিধিমালার প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। শ্রমিকদের ডাটাবেজ মে মাস এবং ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন বিষয়ে অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
জিএসপির শর্ত পূরণের অগ্রগতি সর্ম্পকে শ্রম সচিব বলেন, ওয়েবসাইট, ২৫ জন পরিদর্শক নিয়োগ, আইন প্রণয়নের কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তারা আমাদের অগ্রগতিগুলো দেখছেন।
এদিকে বৈঠক শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা সাংবাদিকদের বলেন, কারখানা, ডাটাবেজ তৈরি, পরিদর্শক নিয়োগ, শ্রম আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ অগ্রগতি লাভ করেছে। তবে আরো অগ্রগতি প্রয়োজন।
শ্রম সচিব ছাড়াও বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাসহ কানাডা, যুক্তরাজ্য, নেডারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতরা।