মঙ্গলবার রাস্তায় নামছে সাড়ে চারশ’ ট্যাক্সিক্যাব
ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাস্তায় নামছে সাড়ে চারশ’ ট্যাক্সিক্যাব, যেগুলি চালাবেন প্রাক্তণ সেনা সদস্যরা। আগামী ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তার্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘তিন দিনব্যাপী ৯ম ঢাকা মোটর শো-২০১৪’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, সাড়ে চারশ ট্যাক্সিক্যাবের মধ্যে ঢাকায় ২৫০টি ও চট্টগ্রামে ১৫০টি চলাচল করবে। সেনা বাহিনীর প্রাক্তন সৈনিকরা এসব গাড়ি চালাবেন। এতে করে দুর্নীতি ও অনিয়মের কোনো সুযোগ থাকছে না।
ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়া নিয়ে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে। এখন যাত্ররীরা প্রশ্ন তুললেও পরবর্তীতে তা বিবেচনা করা হবে বলে জানান যোগাযোগমন্ত্রী।
ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়ার বিতর্ক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশেই বাংলাদেশের মতো ব্যাংক সুদ নেই। এখানে ব্যাংক সুদের হার বেশি। এজন্য ভালো গাড়িতে চলতে গেলে টাকা একটু বেশিই লাগবে।
এ সময় পরিবেশবান্ধব অকটেন চালিত ১৫০০ সিসি টেক্সিক্যাব পর্যায়ক্রমে ঢাকার রাস্তায় নামানো হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য সারাদেশের সড়ক সংস্কার, এলিভেটড এক্সপ্রেস ও পদ্মা সেতু নিয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাস্তার জীর্ণ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের দিকে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে জয়দেবপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা-চট্টগ্রামের ৪ লেনের কিছু অংশ সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে। আস্তে আস্তে সারাদেশে কংক্রিট রাস্তার দিকে যাবো।
তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শুরু করবো। মেট্রোরেল নিয়ে জাইকার সঙ্গে ২২ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে, শিগগির কাজ শুরু হবে।
‘জুনের মধ্যে পদ্মাসেতুর মূলসেতুর কাজ শুরু করবো।’ ২০১৭ সালের মধ্যে এ সেতুর কাজ শেষ করতে পারবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া এ মোটর শো এর টাইটেল স্পন্সর নিটল-নিলয় গ্রুপ। এ প্রদর্শনী চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ব্যবসায়ী ও দর্শকদের জন্য এ প্রদর্শনী খোলা থাকবে।
এবারের মেলায় ৩৫০টির বেশি স্টলে দেশি-বিদেশি প্রথম সারির নির্মাতা ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের গাড়ি, মোটর সাইকেল, লুব্রিকেন্ট, সিএনজি রূপান্তরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ প্রদর্শিত হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেমস গ্লোবাল ১৯৯২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ২২ বছরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহুজাতিক প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। বর্তমানে ৮টি দেশে নিজস্ব অফিস পরিচালনার পাশাপাশি ৫টি দেশে বছরে ৩৯টিরও বেশি আন্তর্জাতিক মানের প্রদর্শনী আয়োজন করে আসছে এ প্রতিষ্ঠানটি।
আরও জানানো হয়, এই প্রদর্শনীর লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের অটোমোটিভ খাতের ভোক্তাদের নিত্য নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত করা ও তাদের ত্রুমাগত চাহিদা মেটাতে বিশ্ববাজারে সাড়া জাগানো আধুনিক প্রযুক্তিগুলো এক ছাদের নিচে দেশীয় বাজারের সঙ্গে মিলন ঘটানো।
উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) প্রেসিডেন্ট আফতাব উল ইসলাম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টির প্রেসিডেন্ট শাহজাহান খান প্রমুখ।