৪ বছরে জলবায়ু খাতে বরাদ্দ ২৭শ’ কোটি টাকা

২০১০ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত বিগত চার বছরে সরকার শুধু জলবায়ু খাতেই ২ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রোববার রাজধানীর স্পেকট্রা সেন্টারে অনুষ্ঠিত জলবায়ু বিষয়ক ২য় জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আজ আমরা যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি তার জন্য দায়ী উন্নত বিশ্বের অতি মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ। আমাদের দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এ দুর্ভোগকে সীমাহীন করে দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্ভোগ এখন শুধু বাংলাদেশই পোহাচ্ছে না। সারা পৃথিবীই এর ফলভোগ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন সারা পৃথিবীবাসীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এখন তাই প্রয়োজন সামগ্রিক প্রচেষ্টার।

মুস্তফা কামাল জানান, জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর কার্যক্রমে বাংলাদেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করেছে।’

অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বন সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর কাজে সরকার বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, এনজিওসহ সুশীল সমাজের সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে যেন খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য রক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, কম কার্বন নিঃসরণ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায়।

‘বর্তমান সরকার জলবায়ু সংক্রান্ত বাংলাদেশ ক্লাইমেট স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। এছাড়াও সরকার বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ড ও বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড গঠন করেছে ‘

বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. সালিমুল হক তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হলে সরকার, এনজিও, উন্নয়ন সহযোগীসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে যথার্থভাবে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

‘এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা জনসচেতনতা তৈরিতে সাহায্য করেছে। এখন মিডিয়াকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর উপায় ও কৌশল শেখানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।’

x