সুনামগঞ্জে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গণসমাবেশ
জলবায়ৃ বাস্তুচ্যুতদের সুরায় জাতীয় নীতিমালা, স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ও বিপন্ন এলাকাগুলোতে অধিক বরাদ্দের দাবিতে সুনামগঞ্জে সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১ টায় স্থানীয় শহীদ জগ॥জ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ গণসমাবেশ শুরু হয়ে চলে দুপুর পৌনে ১ টা পর্যন্ত।
সুনামগঞ্জ জলবায়ু অ্যাডভোকেসি ফোরামের উদ্যোগে এবং নেটওয়ার্ক অন কাইমেট চেঞ্জ বাংলাদেশ(এনসিসিবি) ও এনজিও সংস্থা এ্যাসিসটেন্ট ফর স্লট ডুয়েলার্স( এএসডি)’র সহগযোগিতায় এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ জলবায়ু অ্যডভোকেসি ফোরামের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ ও মৌলভী বাজার সংরতি আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ, এএসডি’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টও এমএ করিম।
এএসডি’র টেকনিক্যাল অফিসার(ডিআরআর) মদরিছ আলীর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জলবায়ু অ্যাডভোকেসি ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আবেদ মাহমুদ চৌধুরী।
অন্যান্যেও মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, দিরাই উপজেলার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জ জনকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নির্মল ভট্টাচার্য্য, দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রতি কান্ত দাস, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান মিয়া, দণি সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়া, এনসিসিবি’ কো অর্ডিনেটর সচিব কাজী মঞ্জুরুল আলম প্রমুখ।
এ গণসমাবেশে জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত জনগণের স্বার্থ রায় ৮ টি দাবি উত্থাপন করা হয়। এ গুলো হচ্ছে,
জলবায়ু পরিবর্তন জনিত র্দূযোগে বাস্তুচ্যূতদের সুরায় অবিলম্বে জাতীয় নীতিমালা প্রনয়নে উদ্যোগ গ্রহন করা।
বিসিসিএসএপি(২০০৯)’র আওতায় গৃহীত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য কর্মর্সূচি বাস্তবায়ন করা।
বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জন্য শহরকেন্দ্রিক অভিবাসন ও পুর্ণবাসন পরিকল্পনা গ্রহন করা।
জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু আলোচনায় উদদ্বাস্তুদের অধিকার ইস্যু নিয়ে পৃথক ওয়ার্ক প্রেগ্রাম চালুৈ করা।
ডবসিসিএসএপি-২০০৯কে পুনমূল্যাণ ও সমযোপযোগি করতে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, জনপ্রতিনিধি, সংসদীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, নাগরিক সমাজ ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তিগ্রস্ত জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সতুন কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ণ করা।
জলবায়ু প্রকল্প গুলি অনুমোদনের েেত্র অগ্রাধিকার নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখা। বিশেষ করে দরিদ্র ও জলবায়ু বিপন্ন এলাকাগুলির অগ্রাধিকারকে সুস্পষ্টভাবে মান্য করার বিধান রাখতে হবে। সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগ্রলিতে জলবাং তহবিল থেকে সর্বাধিক বরাদ্দ দান এবং জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা।
জাতিসঙ্ঘের প্রকল্পগুলির জলবায়ু সম্মেলনের আওতায় গৃহীত সিদ্ধান্তানুযায়ী জাতীয় অভিযোজন কর্ম পরিকল্পনা (এনএপি) প্রণয়নের েেত্র স্থানীয় অভিযোজন কর্মপরিকল্পনাকে অবশ্যই অর্ন্তভূক্ত করতে হবে।
জলবায়ু অভিযোজন অর্থায়ণকে সকল আর্ন্তজাতিক অর্থ লগ্নিকারি প্রতিষ্ঠনের (আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক) প্রভাবমুক্ত করতে হবে।