সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় আব্দুল মুকিত নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
আব্দুল মুকত সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উপজেলার খুরুতলা গ্রামের ইরফান আলী ছেলে।
রোববার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল হান্নান এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ২৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের খুরুতলা গ্রামে আব্দুল মুকিতের ছেলে আব্দুস শহিদ গ্রামের কবরস্থনে খড়কুটুতে আগুন দেয়। এসময় সাঞ্জব আলী তাকে গালমন্দ করেন। এরপর শহিদের বাবা আব্দুল মুকিত গালমন্দের কারণ জানতে চেয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে আব্দুল মুকিত একটি কাঠ দিয়ে সাঞ্জব আলী মাথায় আঘাত করলে সাঞ্জব আলীর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পর দিন সাঞ্জব আলীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্ত করলে সেখানে সাঞ্জব আলীর মৃত্যু হয়।
এব্যাপরে সাঞ্জব আলীর ছেলে মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে ৪ ফেব্র“য়ারি সুনামগঞ্জ সদর থানায় একই গ্রামের আব্দুল মুকিত ও তার স্ত্রী আছিয়া খাতুনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।
স্বাী প্রমাণ শেষে আদালত আসামি আব্দুল মুকিতকে দন্ড বিধির ৩০২ ধারায়-যাবতজীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
অপরদিকে আসামী আছিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন।
এদিকে আসামী আব্দুল মুকিত পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের জন্য আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এবিএম জাফরান এবং পলাতক আসামি পে মামলা পরিচালনা করেন স্টেট ডিফেন্স কৌশলী অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামছুল ইসলাম।