সুনামগঞ্জের কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ৪ আহত ৩৬ ব্যাপক ক্ষতি
সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, দিরাই,শাল্লা ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঝড়ে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ির ছাউনি উড়ে গেছে। এসময় প্রায় ৭০টি কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এছাড়া, ঝড়ে ধর্মপাশা উপজেলায় এক শিশুসহ ৪ জন নিহত ৩৬ জন আহত হয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে, ধর্মপাশা সদর উইনিয়নের মাহদিপুর গ্রামে শামসুল হক (৬৫)। তিনি ইট খলার পাহারাদার। একই উপজেলার সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ রাজাপুর ইইনয়নের গোল্লা রাজাপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ১০ বছরের শিশু কণ্যা দিতি ও একই গ্রামের মৃত লালু মিয়ার ছেলে কাচু মিয়া এবং একই উপজেলার মধ্যনগর থানার বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের দুদ মিয়(৬০)।
ধর্মপাশা থানার এসআই মকবুলুর রহমান বিষয়টি সুনামগঞ্জ মিররকে নিশ্চিত করেছেন।
মধ্যনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোল্লা মনির হোসেন দুদ মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নে ৫০টি কাঁচা ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এছাড়া, আধাপাকা ২০টি বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে। উপজেলার মধ্যনগর সড়কে শতাধিক গাছ পড়ে গেছে। এত সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো এলাকা।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন- ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী।
এদিকে, উপজেলার মহদিপুরে একটি ইটভাটায় দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে পাহারাদার শামসুল হক ও ঘর চাপা পড়ে দিতি ও কাচু মিয়া নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ, ডাকবাংলো ও থানা এলাকার প্রায় ২০/২৫ টি বড়বড় গাছ পড়ে গেছে। এছাড়া, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শতাধিক বাড়িঘরের ছাউনি উড়ে গেছে।
জামালগঞ্জ উপজেলার সেনারবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, তার ইউনিয়নের ৫/৬টি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ির ছাউনি উড়ে গেছে এবং কমপক্ষে ২০টি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
দিরাই উপজেলার জগদল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, তার ইউনিয়নের বড় নগদীপুর কলিয়ার কাপন, বড়কাপন গ্রামে প্রায় ৩ শতাধিক ঘরবাড়ির কাচা ঘর বিধস্ত ও ৫ শতাধিক আধাপাকা ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে ।
এছাড়া দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়ন, রফিনগর ইউনিয়নসহ প্রায় সকল ইউনিয়নে বাড়ি-ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে বলেন খবর পাওয়া গেছে।
দিরাই উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রণধীর ভূষণ সুনামগঞ্জ মিররকে জানান, উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ১৬০ হেক্টর জমির বোর ফসল সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।