সুনামগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
সুনামগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে হত্যার দায়ে আব্দুল করিম নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আব্দুল করিম সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের চরনারচর নোয়া গাও গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে।
স্ত্রী আনোয়ারা একই জেলার দোয়ার বাজার উপজেলার সুরিগাও গ্রামের রুছমত আলীর মেয়ে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী আবদুল হান্নান এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে আব্দুল করিম শ্বশুর বাড়িরের পাশের বড়িতে বসবাস কওে আসছিলেন। ২০০০ সালের ২৭ এপ্রিল মাঠ থেকে বাড়িতে আসলে স্ত্রী আনোয়ারা বেগম স্বামী আব্দুল করিমকে ভাত খেতে বলেন, কি›ন্তু দাম্পত্য কলহের জের ধরে আব্দুল করিম ভাত না খেয়ে পার্শবর্তী আহমদ আলীর বড়িতে চলে,গেলে স্ত্রী আনোয়ানা পেছনে পেছনে গিয়ে আবার তাকে ভাত খেতে অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে আব্দুল করিম ৭-৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আনোয়ারার পেটে লথি মারেন। সঙ্গে সঙ্গে আনোয়ার মাটিতে লুটিযে পড়েন। এসময় করিম ডাক্তার ডাকার কথা বলে পালিয়ে যান। এতে অতিরিক্ত রক্তরণ হওয়ায় আনোয়ারার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আনোয়ারার বাবা রুছমত আলী বাদি হয়েছে দোয়ারা বাজার থানায় আব্দুল করিমকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করে।
স্বাী প্রমাণ শেষে আদালত আসামি আব্দুল করিম দন্ড বিধির ৩০২ ধারায়-যাবতজীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
এদিকে আসামী আব্দুল করিম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের জন্য আদালত পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপে মামলা পরিচালনা করেন সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট সমীরণ চন্দ্র সরকার এবং পলাতক আসামি পে মামলা পরিচালনা করেন স্টেট ডিফেন্স কৌশলী অ্যাডভোকেট মো.কামাল হোসেন (এক)।