সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ১৭ হাজার ঘর-বাড়ি বিধস্ত
সুনামগঞ্জের ৫ টি উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় ১৭ হাজার ঘর-বাড়ি বিধস্ত, ৪ জন নিহত ও সাড়ে ৭ শত জন আহত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের ত্রাণ ও পূর্ণবাস শাখা বিষয়টি সুনামগঞ্জ মিররকে নিশ্চিত করেছে।
উপজেলা গুলো হচ্ছে, দর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ ও দণি সুনামগঞ্জ।
বুধবার দুপুর ১২ টায় জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ সুনামগঞ্জ মিররকে জানান, প্রাথমিকভাবে য়তির পরিমান নির্ণয় করা হয়েছে। তবে দু’এক দিনের মধ্যে চুড়ান্ত ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্রতিটি তি গ্রস্থ উপজেলার উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তারা য়তি চুড়ান্ত তালিকা তৈরী করছেন।
এর মধ্যে ধর্মপাশা উপজেলায় ৪ জন নিহত ও প্রায় ৬ শত জন আহত হয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার ঘর-বাড়ি ও ১২ হাজার গাছ পালা বিধস্ত এবং এক হাজার হেক্টর বোরো ফসল তিগ্রস্ত হয়েছে।
এ উপজেলায় তাৎণিকভাবে জেলা প্রশাসন নগদ এক লাখ টাকা ও ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেওয় হয়েছে।
এদিকে জেলার দিরাই উপজেলায় ঝড়ে আহত হয়েছে ১৪৭জন। উপজেলার সম্পূর্ণ তিগ্রস্ত হয়েছে দেড় হাজার পরিবার আর ৪ হাজার পরিবার বেশী তিগ্রস্ত ও আংশিক তিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১ শ ৫০ টি পরিবার।
এ উপজেলায় সম্পূর্ণ তিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ১ শ ৫০টি ঘব-বাড়ি ও আংশিক তিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার ঘর-বাড়ি এবং ৫০ টি শিা প্রতিষ্ঠান তিগ্রস্ত হয়েছে।
খুব বেশী তিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার লোক এবং ২০ হাজার লোক আংশিক তিগ্রস্ত হয়েছে ২০ হাজার লোক।
এ উপজেলায় ১ শত ৬০ হেক্টর বোরো জমির ফসল এবং ৩০ লাখ টাকার গাছ- পালা তিগ্রস্ত হয়েছে।
শাল্লা উপজেলায় ২ শ ২০ টি পবিবার খুব বেশী এবং আংশিক তিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৩ পরিবার।
এ উপজেলায় ঘর-বাড়ি বিধস্ত হয়েছে সাড়ে ৪ শত ও আংশিক তিগ্রস্ত হয়েছে ৭ শত ৪০ টি এবং ১৫ হাজার লোক তিগ্রস্ত হয়েছে।
জামালগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৩ শ ২৫টি পরিবার তিগ্রস্ত এবং ৯ হাজার লোক হয়েছে।
দণি সুনামগঞ্জে দুই হাজার ঘর-বাড়ি তি গ্রস্ত হয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ছাতক,জগন্নাথপুরসহ অন্যান্য উপজেলার ব্ষতিগ্রস্তেও তালিকা এসে পৌছেনি।