দেশের অর্ধেক ইট ভাটাই অবৈধ
ঢাকা: দেশের বিদ্যমান ইট ভাটাগুলোর মধ্যে অর্ধেকই অবৈধ বলে মন্তব্য করলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেসব ইটভাটা জিকজ্যাক পদ্ধতি গ্রহণ করেনি তাদের সবাই এখন অবৈধ। এ সংখ্যা মোট ইটভাটার অর্ধেক বলেও দাবি করেন তিনি।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটি সদস্য টিপু মুন্সি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দেশের সব ইটভাটাগুলোকে গত জুলাই এর মধ্যে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি গ্রহণের শেষ সময়সীমা দিয়েছিলাম। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ইটভাটার মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশ এ পদ্ধতির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বাবি যেগুলো আছে তাদের সবাই অবৈধ। এসব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এগুলোকে আর কোনো সময় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, পরিবেশ আইন অনুযায়ী যেসব জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অফিস রয়েছে সেসব জেলায় পরিবেশ আদালত গঠনের সুপারিশ করেছে কমিটি।
সভাপতি বলেন, ৫৫ মাইক্রো পলিথিন ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ায় অনেকেই এ সুযোগ নিয়ে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সর্বক্ষেত্রে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে কমিটির সদস্য টিপু মুন্সিকে আহ্বায়ক করে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনে লস অ্যান্ড ড্যামেজ আদায়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি তোলার ব্যাপারে কমিটি একমত হয়েছে। ইতোমধ্যে জলবায়ু সম্মেলনে অংশ গ্রহণের জন্য ধারণাপত্র তৈরি করা হয়েছে।