চলে গেলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী

ঢাকা: স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী (৮০) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি……রাজিউন)।

রোববার (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে আর্মি স্টেডিয়ামে চলমান বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের চতুর্থ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

এরপর তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসত মৃত ঘোষণা করেন।

সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিরউদ্দিন জানান, এখানে আনার পর রাত ৯টার দিকে কাইয়ুম চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।

পরে তার স্বজনরা রাত পৌনে ১০টার দিকে তার কাইয়ুম চৌধুরীরর মরদেহ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখার জন্য নিয়ে যান। বর্তমানে তার মরদেহ ওই হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

এর আগে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের আয়োজকরা জানান, বক্তৃতা করার সময় শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় মাথার পেছনে আঘাত পান তিনি।

কাইযুম চৌধুরী তার শিল্পকলা একাডেমি প্রদত্ত শিল্পকলার জাতীয় পুরস্কার (১৯৭৭), বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলোর জন্য মনোনীত হয়েছেন এবং লাভ করেছেন রাষ্ট্রীয় একুশে পদক (১৯৮৬)।

তারও আগে পঞ্চাশের দশকে তিনি দু-দুবার রেলওয়ের টাইমটেবলের প্রচ্ছদের জন্য সেরা পুরস্কার পেয়েছেন (১৯৫৯, ১৯৬১), পেয়েছেন শিল্পকলায় পাকিস্তানের জাতীয় পুরস্কার (১৯৬১-৬২), পঞ্চম তেহরান বিয়েনাল থেকে রাজকীয় দরবার পুরস্কার (১৯৬৬) এবং বাংলাদেশের প্রচ্ছদশিল্পের জন্য সাতবার গ্রন্থকেন্দ্র পুরস্কার (১৯৬৪-৭৬) ও স্বর্ণপদক (১৯৭৫)।

১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনীতে গুণী এ শিল্পীর জন্ম হলেও বাবার বদলি চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। ১৯৪৯ সালে সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। স্কুলজীবন থেকে আঁকাআঁকির প্রতি ঝোঁক ছিল কাইয়ুম চৌধুরীর। ১৯৪৯ সালে আর্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে কাইয়ুম চৌধুরী কৃতিত্বের সঙ্গে শিক্ষা সমাপন করেন ১৯৫৪ সালে। তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনকে। সদ্য প্রতিষ্ঠিত আর্টস ইনস্টিটিউটের নবীন শিক্ষার্থীরা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

x