তাহিরপুরের মল্লিকপুরের শিশুরা এখন স্কুলে যাবে

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ছোট্ট একটি গ্রাম মল্লিকপুর। এখানে ছিল না কোন প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে গ্রামের শিশুরা ছিল শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।

এই ছোট্ট গ্রামটিরই ছেলে এএইচএম হুমায়ুন মল্লিক। পড়ালেখা শেষ করে চাকরি করছেন ঢাকায়। মূলত তিনি একজন সমাজকর্মী। নিজের গ্রামের শিশুরা এখনো শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত- এ ভাবনা থেকে হুমায়ুন মল্লিক তাঁর নিজ উদ্যোগে পৈতৃক জমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন।

স্কুলটির নাম মল্লিকপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। বাইরে টাঙ্গানো সাইনবোর্ডে লিখা, ‘শিক্ষিত সন্তানই সমাজকে বদলাতে পারে’।

হুমায়ুন মল্লিকের এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত ১ ডিসেম্বর স্কুলটি স্থাপিত হয়।

গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এই স্কুলটির উদ্বোধন হয়েছে।

স্কুল প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি, বাদাঘাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জুনাব আলী, বাদাঘাট উত্তর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. রাখাব উদ্দিন, বিশ্বম্ভরপুর দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মো. মশিউর রহমান, ইসলামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও ধামালিয়া পত্রিকার সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, বাদাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন তালুকদার, তাহিরপুর যুবদলের যুগ্ম-সম্পাদক সঞ্জিব উস্তার, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী মাওলানা আবুল কাশেম।

তাঁদের সকলেই স্কুল পরিচালনায় সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এসময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলটির উদোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম হুমায়ুন মল্লিক। তিনি বললেন তাঁর ইচ্ছা ও ভাবনার কথা।

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গ্রামের বিশিষ্ঠ শিক্ষানুরাগী ও স্কুলটির জমিদাতা আহমেদ মল্লিক। অনুষ্ঠান পরিচালনা শিক্ষক সেলিম আহমদ।

মল্লিকপুরবাসী এখন আগ্রহভরে অপেক্ষায়, তাদের সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে লেখাপড়া শেখাবেন।

x