মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাষ্ট্রের একার নয়
ঢাকা: যারা রাষ্ট্রের আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত থাকেন, তারা মনে করেন, শুধুমাত্র সরকারি তোষামোদি করা বোধহয় আইনজীবীদের কাজ। এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘গুড গভার্নেন্স হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড রুল অব জাস্টিস’ শীর্ষক আলোচনা সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব রাষ্ট্রের একার নয়। এখানে দু’টি বিষয় রয়েছে। একটা হচ্ছে পারফেক্ট অবলিগেশন, আরেকটি ইমপারফেক্ট অবলিগেশন।
ব্যুরো অব হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশের আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত শাহের মোহাম্মদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বিচারপতি আবু কাওসার মো. দরিশ্বানের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
ড. মিজান বলেন, আমরা জানি, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হন। সেই সংখ্যালঘু ধর্মীয় সংখ্যালঘু হতে পারেন, জাতিগত সংখ্যালঘু হতে পারেন অথবা ভাষাভিত্তিক বা অঞ্চলভিত্তিক হতে পারেন। নানা কারণে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের চিত্র আমরা বিভিন্ন সময় দেখে থাকি। যখন কোনো একটি নির্দিষ্ট অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে, তখন অবশ্যই আমরা দেখছি, ভিক্টিমের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
সভায় মানবাধিকার রক্ষায় অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।