জাতীয় পতাকা বিক্রি করাটাও সম্মানের
সুনামগঞ্জ: আসছে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বাঙ্গালীর গৌরবের দিন। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জ শহরের রাস্তায় আর অলিগলিতে শুরু হয়েছে পতাকা বিক্রেতাদের আনাগোনা। লালসবুজে বর্ণিল হয়ে ওঠছে অনেক এলাকা।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের বিহারীপয়েন্টের মোরে আলাপ হয় দু’জন পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে। একজনের নাম রতন, অন্যজন কবির। তারা দু’জনেই হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ থেকে পতাকা বিক্রি করতে এসেছেন।
পতাকা বিক্রেতা রতন সুনামগঞ্জ মিররকে বলেন, বিভিন্ন দামে ছোটবড় পতাকা বিক্রি করেন তারা। বড় আকৃতির পতাকার দাম দেড়শ টাকা, মাঝারি আকৃতির পতাকা একশ’ টাকা এবং ছোট আকৃতির পতাকার দাম পঞ্চাশ টাকা। তবে যানবাহনে ব্যবহারে জন্য পঁচিশ টাকা দামে কাপড়ের তৈরি ছোট পতাকাও বিক্রি করছেন তিনি। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে দশ টাকা দামের পতাকাও।
আরেক বিক্রেতা কবির বললেন, দশ টাকা দামে মাথায় পড়ার রবার ব্যান্ড, হাতের ব্যান্ড, স্টিকারও বিক্রি হচ্ছে।
কথার বলার ফাঁকেই মোটরসাইকেলে করে একজন ক্রেতা এসে দাঁড়ালেন। তিনি তার মোটরসাইকেলে লাগানোর জন্য দশ টাকা দামের একটি ছোট পতাকা কিনলেন।
দুই বিক্রেতার কাছ থেকে জানা গেল, অন্যান্য বছর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পতাকার বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হয়। সে তুলনায় এবার সুনামগঞ্জে বিক্রি কম। তবে বিজয় দিবসের আগের দু’একদিনে ভাল বিক্রি হবে বলে তারা আশা করছেন। বিক্রি কমবেশি হলেও দৃপ্তকণ্ঠে রতন বলেন, জাতীয় পতাকা বিক্রি করাটাও সম্মানের।
শহরের হাসননগরের বাসিন্দা শিক্ষার্থী ইমরান সুনামগঞ্জ মিররকে বলেন, আমরা সারাবছরই বিদেশী সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে থাকি, অথচ বিজয় দিবস আসলে আমাদের দেশপ্রেমের কথা মনে পড়ে- এটা আসলে ঠিক নয়। আমাদের এই মানসিকতা বদলাতে হবে।
কাজীর পয়েন্টে কথা হয় মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা কেবল বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবসেই পতাকা কিনি, কিন্তু যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পতাকার ব্যবহার সারাবছরই হওয়া উচিত।