বড়দিনের শুভেচ্ছা, কিন্তু…

বিশ্বে যতগুলো ধর্ম বিদ্যমান রয়েছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম। মুসলিম জাহানে যতজন নবী এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে হযরত ঈসা (আঃ) অন্যতম। আল্লাহ’র অলৌকিকতার এক নিদর্শন হিসেবে কুমারী মাতা মরিয়মের গর্ভে তিনি জন্ম নেন। ঈসা (আঃ)কে খ্রিস্টানরা বলে যীশুখ্রিস্ট, আমরা বলি ঈসা নবী। আমাদের মুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ী, তিনি একজন নবী ছিলেন এবং তাঁর জন্ম একজন কুমারী মাতার গর্ভে।

খ্রিস্টানরা যীশুকে মনে করে, ‘Son of God’, যা অর্থ দাঁড়ায় স্রষ্টার পুত্র বা আল্লাহ’র পুত্র (নাউজুবিল্লাহ)। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরিক নেই। ইসলাম ধর্মের সাথে খ্রিস্ট ধর্মের মূল সাংঘর্ষিক ব্যাপারটা এখানেই ঘটেছে।

আমরা বিশ্বাস করি, ঈসা (আঃ)কে হত্যা করা হয়নি। কাফেররা তাঁকে যখন ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল তখন আল্লাহতা’লা তাঁকে আলৌকিকভাবে উঠিয়ে নেন এবং একজন কাফেরের চেহারা তাঁর মত করে দেন। হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহ’র নির্দেশে কিয়ামতের আগে পৃথিবীতে আবার আসবেন এবং ধর্ম প্রচার করবেন। খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যীশুকে হত্যা করা হয়েছিল, আর খ্রিস্ট ধর্মের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করা হয় ক্রুশ।

হ্যাপি ক্রিসমাস বা মেরি ক্রিসমাস বলার আগে নিজেদের ধর্মীয় বোধটা নিয়ে একবার ভেবে নেয়া উচিত। হতে পারে বড়দিন খ্রিস্টানদের বড় ধর্মীয় উত্সব, কিন্তু তার আগে দেখতে হবে এই উত্সব আমাদের ধর্মের কোন কোন দিকের সাথে সাংঘর্ষিক। আমরা কি ‘আল্লাহর পুত্রর’ জন্মদিন পালন করব? আসতাগফিরুল্লাহ! আমরা মুসলিম, আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস বা ঈমান আমাদের সব। আমরা অসাম্প্রদায়িক হবো অবশ্যই, কিন্তু তাতে নিজেদের বিশ্বাসের সাথে কোনক্ষেত্রে সংঘর্ষ ঘটানো একেবারেই অনুচিত।

যাই হোক, ধর্মীয় ব্যাখায় না গিয়ে, কেবল একটা উত্সব হিসেবে ধরে নিলাম আজকের দিনটিকে। শুভ হোক বড়দিন। তবে মুসলিম ভাইবোনদের উচিত, ‘হ্যাপি ক্রিসমাস’ নিয়ে মেতে না থেকে বরং আজকের দিনটাকে আমাদের ঈসা নবীর জন্মদিন হিসেবে ধরে নিয়ে বাড়তি ইবাদত করা।

x