বিএনপি-আওয়ামীলীগের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৩০
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লাসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার প্রধান ফটকের কাছে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে এসময় পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান তারেক ও চ্যানেল নাইনের এআর জুয়েলও রয়েছেন। তবে বাকিদের সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সংঘর্ষের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির (‘গণতন্ত্র হত্যাদিবস’) অংশ হিসেবে দুপুরে শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্টের দিকে যাচ্ছিলেন। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির (‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’) অংশ হিসেবে র্যালি নিয়ে পুরাতন কোর্ট এলাকায় যাচ্ছিল দলটির নেতাকর্মীরা। পথে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার প্রধান ফটকের কাছে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে ওসি ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
সংঘর্ষ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের সময় রাস্তার সাধারণ পথচারীরা ভয় পেয়ে বিভিন্ন দিকে ছুটে পালান। অনেকে আশপাশের দোকানের ভেতর আশ্রয় নেন।
এরপরপরই ময়নার পয়েন্টে সিএনজি চালিত দু’টি অটোরিকশা ভাঙচুর করে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের কর্মীরা।
দুপুর দেড়টায় দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও ইট-পাটকেল ছুড়ে উত্তরা ব্যাংকসহ কয়েকটি ভবনের কাঁচ ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে। তবে এসময় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হাই চৌধুরী জানান, সংঘর্ষের পর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা শহরে টহল দিচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরাও টহল দিচ্ছে।
দুপুর আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রদল এবং ট্রাফিক পয়েন্টে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।